সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত থেকে চট্রগামের তিন তরণীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনতা। এসময় আটক করা হয়ছে পাঁচ পাচারকারিকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দমদম বাজার থেকে তাদের উদ্ধার ও আটক করা হয়। আটককৃত পাচারকারীরা হল, নোয়াখালি জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলাইপুর গ্রামের গোলাম কবিরের ছেলে সাকেরুল ইসলাম ওরফে ইকবাল (৩২), নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বরুদি গ্রামের মোস্তাফা কামালের ছেলে মামুদুল হাসান সুমন (২৫), ঢাকা ডিএমপির ১০৭ শান্তিবাগ শাহাবাগ এলাকার আক্তারি কামালের ছেলে হাবিবুল্লাহ (২২), শরিয়তপুর জেলার ডামুরডা থানার কানাইকাটি গ্রামের লালচান মিয়ার ছেলে আক্কাজ আলি বাবু (২৮) ও একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৫)। উদ্ধার হওয়া তিন তরুনী হলেন, চট্রগামের সিএমপির বায়োজিদ থানার পার্শে তাজু মাষ্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া নাহিদা বেগম (২২) সুমি বেগম (১৯) ও আরজু আকতার (১৮)। উদ্ধার হওয়া তরুণী নাহিদা বেগম জানান, তারা তিন জন কম বেতনে ঢাকার একটি গার্মেন্টসএ চাকরি করতেন। গত দুই মাস পূর্বে পাচারকারি সাকেরুল কবির ওরফে ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান ওরফে সুমনের সাথে পরিচয় হয় তাদের। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই পাচারকারি তাদের তিনজনকে ওমানে নিয়ে বেশী বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে গত ১৫ মার্চ রাতে তাদের যশোর আসতে বলা হয়। পরে পাচারকারিরা তাদের সেখান থেকে বৃহস্পতিবার কলারোয়া সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। যশোর থেকে তাদের বিমানে না পঠিয়ে উক্ত পাচারকারীরা ওই তিন তরুনীকে সীমান্ত এলাকায় আনলে বিষয়টি নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়। পথিমধ্যে উপজেলার দমদম বাজারে পৌছালে তাদের আতœ চিৎকারে স্থানীয় জনতা তাদেরকে উদ্ধার করেন। একইসাথে উক্ত পাঁচ পাচারকাি কে আটক করে কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এমদাদুল হক শেখ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে পাচারের শিকার নাহিদা বেগম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় এমটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, পাচারের শিকার উক্ত তিন তরুনীর অভিাবকদের খবর পাঠানো হয়েছে। তাঁরা আসার পর তাদেরকে তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হবে।