নিজস্ব প্রতিনিধি : দেবহাটায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন ও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরিবারের সদস্যদেরকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোছাঃ হালিমা খাতুন নামের এক অসহায় নারী। সে উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের কোঁড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের মেয়ে। বুধবার সকাল ১০টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী হালিমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আমিনা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। আমি যে সময় বাড়িতে থাকি তখন মাঝে মধ্যে বাড়ির পাশের প্রতিবেশী মাসুম বিল্লাহর বাড়িতে যাই এবং তারাও আমাদের বাড়িতে আসে। তাদের বাড়িতে যাওয়া আসার এক পর্যায়ে মাসুম বিল্লাহর ছেলে আরিফুল ইসলাম আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে একই জায়গায় বাড়ি হওয়ায় এক পর্যায়ে সে আমাকে রাজি করিয়ে ফেলে। প্রায় দুই বছরের অধিক তার সাথে প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। সে সময় থেকে আরিফুলের বাবা-মা আমাকে নিজের পুত্র বধুর মত বাড়ির সকল গৃহিনীর কাজ করাতে থাকে। সেখান থেকে আরিফুল সুযোগ পেলে মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কৌশলে আমাকে ধর্ষন করতে থাকে। গত কয়েক দিন পূর্বে আমাকে বিয়ে করবে বলে সে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। চলে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের উভয় পক্ষের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে আমাদেরকে পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে আসে। আমরা বাড়িতে ফেরার পর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি জানার জন্য আসলে আমি তাদের সম্মুখে সকল ঘটনা খুলে বলি। এসময় স্থানীয় মাতব্বর মৃত গণি পাড়ের ছেলে আব্দুল খালেক (ভোলা), আরিফুলের পিতা মাসুম বিল্লাহ, মামা জামাত নেতা সিরাজুল ইসলাম বিয়ের নাটক সাজিয়ে হুজুর ডেকে বিবাহ দিয়ে আমাদের বাড়িতে দু’জনকেই রেখে যায়। ঐ রাতেও আরিফুল আমাকে ধর্ষন করে। তারপর রাত দেড়টার দিকে আব্দুল খালেক ভোলা স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে দিয়ে কৌশলে আমাদের বাড়ি থেকে আরিফুলকে নিয়ে যায়। পর দিন সকাল বেলা আরিফুল ও তার পরিবার উক্ত সম্পর্ক ও বিবাহের কথা সম্পূর্ন অস্বীকার করে এবং আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি সমাধানের জন্য ভোলার কাছে হাটাহাটির করার একপর্যায়ে পারুলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইয়ামিন মোড়লের কথা বলে। ইয়ামিন মোড়ল আরিফুলের আত্মীয় হওয়ায় সে এই বিষয়টি নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমার পরিবারের লোকজনদের হুমকি দিতে থাকে। পরে আমার পিতা উক্ত বিষয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ইউপি সদস্য ইয়ামিন মোড়ল ও ভোলা থেমে নেই। তারা বিভিন্ন সময় আমাদেরকে আইনের চোখে অপরাধী সাজাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে চলেছে এবং আমাদের পরিবারকে বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলেছে। যে কারণে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। তাই উক্ত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও উক্ত ঘটনার সুবিচার পেতে পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারটি।