খেলার খবর: প্রথম ইনিংসে সদ্য বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডকে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট করে চমক দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। লর্ডসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধসে যায় ইংলিশরা। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড করে ২০৭ রান। খুব বড় রান করতে পারেনি তারা। কিন্তু প্রথম ইনিংস থেকে ১২২ রানের লিড পাওয়া খারাপ না। প্রথম ইনিংস থেকেই তাই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানে অলআউট হয় আইরিশরা। ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে ১৪৩ রানে।
প্রথম ইনিংসে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায়। ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় বলা শক্ত। প্রথম ইনিংসে এগারো নম্বরে ব্যাট করা জ্যাক লিচ ‘নাইটওয়াচ’ হিসেবে ওপেনে নেমে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন। এছাড়া জেসন রয় দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৭৮ বলে ৭২ রানের ইনিংস। জো রুট এবং স্যাম কারামদের ছোট ছোট সংগ্রহে ৩০৩ রান করে থামে ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮২ রানের।
কিন্তু আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস থেকে করতে পারে মাত্র ৩৮ রান। ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ক্রিস ওকস এবং স্টুয়ার্ড ব্রডের তোপে অলআউট হয়ে যায় তারা। টেস্টে যা সপ্তম সর্বনিন্ম ইনিংসের রেকর্ড। ক্রিস ওকস নেন ৬ উইকেট। বাকি ৪ উইকেট দখল করেন ব্রড। প্রথম ইনিংসে আইরিশ বোলাররা যা করে দেখান। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড পেসাররা তার চেয়েও রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন। আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ ৬ উইকেট নেন টিম মুরতাগ। মার্ক এডায়ার দুই ইনিংসে নেন ৬ উইকেট। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংস অ্যান্ডু বালবার্নি ৫৫ রান করেন। ব্রড দুই ইনিংসে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এছাড়া প্রথম ইনিংসে স্যাম ক্যারান এবং অলি স্টোন তিনটি করে উইকেট নেন।