প্রেস বিজ্ঞপ্তি। ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভোট কেটে বাক্স ভর্তি করতে না পেরে এখন তিনি প্রলাপ বকছেন। তার আবদার প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় নৌকার প্রার্থী শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনওসহ কর্মকর্তাদের জড়িয়ে নানা গল্প তৈরি করছেন। প্রকৃতপক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান উপনির্বাচন ছিল একটি মডেল নির্বাচন। এতে কোনো ধরনের অনিয়ম কারচুপি দুরে থাকুক মানুষ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে গেছেন। পরাজিত প্রার্থী শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু জিততে না পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদি ও ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচার দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। এমনকি পুলিশ বিজিবি র্যাবসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধেও কান্টু চরম মিথ্যাচার শুরু করেছেন। অথচ তারা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ও সর্বোচ্চ স্ব্চছতা রক্ষা করে শান্তিপূর্ন নির্বাচন উপহার দিতে পরিশ্রম করেছেন। রোববার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান উপনির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ এবাদুল ইসলাম। তিনি ৬৮৩১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন । তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু পেয়েছেন ১১৪৩ ভোট। চেয়ারম্যান এবাদুল বলেন নির্বাচনের আগে থেকেই মোজাহার হোসেন কান্টু ভোট বানচালের চেষ্টা করছিলেন। তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন ‘কেউ ভোট না দিলেও আমি চেয়ারম্যান হচ্ছি। কারণ আমার ক্যাডার বাহিনী আছে কিভাবে ভোট নিতে হয় তা তারা জানে’। তিনি আরও ঘোষনা দেন ‘আমি প্রেগন্যান্ট। নরম্যাল ডেলিভারি না হলে সিজার করা হবে’। এ ধরনের প্রচার দিয়ে মোজাহার হোসেন কান্টু প্রশাসনকেও ভোট কাটার কাজে ব্যবহার করবেন বলে ঘোষনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এবাদুল ইসলাম আরও বলেন ভোটের দিন মোজাহার হোসেন কান্টু প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রকার অবৈধ সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়ে পাইলট স্কুল কেন্দ্রের প্রাচীর টপকে ঢুকে পড়েন। পরে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যালট নিয়ে জোর করে সীল মারার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ভোটের ফলাফল তার অনুকূলে আসছে না এমনটি অনুধাবন করার পর তিনি জোর করেই ভোট কেন্দ্রে ঢুকে যা তা করার চেষ্টা করেন। সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে শেখ মোজাহার হোসেন কান্টু এখন মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন। শনিবার তিনি এক সংবাদ সম্মেলন করে এ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন। এমনকি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে ২২ টি কল্পিত অভিযোগ বানিয়ে মাঠ গরম করার চেষ্টা করেছেন। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। এই নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোনো ভূমিকাই ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন সব ক্ষেত্রে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা রক্ষা করেছেন। পরাজিত প্রার্থী কর্তৃক এই নির্বাচন নিয়ে তাদেরকে বিতর্কিত করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবাদুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান গাজি, ইয়াসিন গাজি ও আতিকুর রহমান।