প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শ্যামনগরের আটুলিয়ায় ভূমিদস্যু মোহর আলী কর্তৃক পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে মহিলাসহ ৩ জনকে মারপিটের ঘটনায় মামলা করায় হত্যা, খুন জখমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক গৃহবধু। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করনে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাদুড়িয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ এর স্ত্রী শরিফা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আটুলিয়া মৌজায় ৩৩ শতক সম্পত্তি আমার শ^শুর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হন। এ সূত্রে আমরা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত সম্পত্তিতে ঘর নির্মান ও গাছপালা লাগিয়ে ভোগদখল করে আসছিলাম। সম্প্রতি একই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু অন্যের সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখলকারী হাওয়ালভাঙ্গী এলাকার সুরাত আলীর পুত্র মোহর আলী ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে জোর পূর্বক দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। আমরা অসহায় ও নিরীহ প্রকৃতির হওয়ায় এবং মোহর আলী সন্ত্রাসী ও দস্যু প্রকৃতির হওয়ায় আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য বিভিন্ন হুমকি ধামকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছিল। এঘটনায় আমার স্বামী শ্যামনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং-৫১৮। ডায়েরির ঘটনা জানতে পেরে গত ২১ জুলাই রাত্র সাড়ে ৯ টার দিকে হাওয়ালভাঙ্গী গ্রামের সুরাত আলীর পুত্র কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোহর আলী, বাদুড়িয়া গ্রামের মোবারক হোসেন, নঈমুদ্দিন সানার পুত্র হাবিবুর সানা, আবু সিদ্দীক, আদম আলী ও মুরাদ হোসেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার স্বামী আব্দুল হামিদকে খুন করার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে আহত করে। দেবর সাঈদকে মারপিট করে। শ^াশুড়ী মনোয়ারা খাতুন বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারপিট করে। সন্ত্রাসীরা ৫০ হাজার টাকা, দলিলপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। জীবন রক্ষার জন্য পুলিশের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার করেন। পুত্র শোভনের মাজায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় মনোয়ারা খাতুন শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৩৩। মামলা করায় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলছে, মামলা করে আমাদের কিছুই হবে না। আজ মামলা হয়েছে। আগামীকাল জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো মারপিট করবো। এরপর থেকে ভূমিদস্যু মোহর আলীর সহযোগী মোবারক হোসেনের স্ত্রী রাশিদা, আদম আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুনসহ কয়েকজন মহিলা আমাদের বাড়িতে গিয়ে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমার বাড়িতে থাকতে পারছিনা। তারা বলছে মহিলারা মারলে কোন কেস হবে না। এই কথা প্রচার করে আমাদের বাড়ির সম্মুখে সব সময় কয়েকজন মহিলা লাঠি সোটা, দা, কুড়াল নিয়ে অবস্থান করছেন। আমরা বতর্মানের তাদের কারণে বাড়িতে উঠতে পারছিনা। মোহর আলীর বাড়ি হাওয়ালভাঙ্গী। সে আটুলিয়া গ্রামে এসে এলাকার মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। এছাড়া আরো অনেক সম্পত্তি মোহর আলী একইভাবে দখল করে রেখেছে। তাদের অত্যাচারে অত্র এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এখন আমাদের বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া আমরা অসহায় নিরিহ প্রকৃতি মানুষ হওয়ায় তাদের অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিবেশী আব্দুস সামাদ। এব্যাপারে তিনি ভূমিদস্যু মোহর আলী ও তার সহযোগী মোবারকসহ অন্যাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং আমার শ^শুরের পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং আমাদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।