খেলার খবর: ভারত-ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশের যুব ক্রিকেট দল। আর এই জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুব টাইগাররা। টুর্নামেন্টের অন্য দলটি হচ্ছে ভারত।
গতকাল রবিবার চেলটেনহ্যামের কলেজ গ্রাউন্ডে এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টস জিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আবর আলি। দুই অংকের ঘরে যেতে না যেতেই ইংলিশদের ইনিংসে আঘাত হানে বাংলাদেশের বোলার তানজিব হাসান সাকিব। ওপেনার টম ক্লার্ককে মাত্র ৬ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি।
এরপরে বেন চার্লসওর্থ আর জ্যাক হাইনেস মিলে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তারা দুজন মিলে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। অবশ্য এই পার্টনারশিপ লম্বা সময় ধরে চলতে দেয়নি বাংলাদেশের যুবরা। ১৩তম ওভারে রাকিবুল হাসানের লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন হাইনেস। আউট হওয়ার আগে তিনি ৪১ বলে ৩৫ রান করেন।
হাইনেস আউট হওয়ার পর ওপেনার চার্লসওর্থের সঙ্গে জুটি বাধেন গোল্ডসওর্দি। তাদের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৮৫ রানের জুটি। কিন্তু দলীয় ১৫১ রানের মাথায় ফিরে যান গোল্ডসওর্দি। তিনি করেন ৫১ রান।
এদিকে গোল্ডসওর্দির বিদায়ের পরপরই মাত্র ১ রান করে আউট হন জয়ে এভিসন। মাত্র ৫ বোলের ব্যবধানে এই দুই উইকেটের পতন ঘটে। তখনই মূলতঃ ইংলিশদের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা।
৬৮ রান করা ওপেনার বেন চার্লসওর্থ আউট হন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে। এরপরে জর্জ হিল ৩০ এবং ফিনলে বিন ৩৬ রান করলে শেষ পর্যন্ত ইংলিশদের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৪২ রানে।
বাংলাদেশের বোলার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নেন ৫২ রান দিয়ে ৪ উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব ৪২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি নেন রাকিবুল হাসান।
ইংলিশদের ছুঁড়ে দেওয়া টার্গেটের জবাব দিতে নেমে তানজিদ হাসান এবং পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে দারুন সূচনা পায় বাংলাদেশ। যদিও ৩২ বলে ২০ রান করে আউট হন তানজিদ হাসান। এ সময় দলীয় রান ছিল ৩৭। তবে পারভেজ হোসেন ইমন ৪৮ বলে ৩২ রান করেন।
এ ছাড়াও ৮০ রানে দুই উইকেট পড়ার পর ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং তৌহিদ হৃদয়। মিডল অর্ডার এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে গড়ে ওঠে ১৩৬ রানের বিশাল জুটি। এরপরে দলীয় ২১৬ রানের মাথায় মাহমুদুল হাসান জয় আউট হলেও তৌহিদ হৃদয় শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। শাহাদাত হোসেনকে সঙ্গী করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। মাহমুদুল হাসান ১১০ বলে ৮১ রান ও শাহাদাত ৮ বলে ১০ রান করেন।