সাতক্ষীরা

বিতর্কিত নবজীবনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটলেন এমপি রবি

By Daily Satkhira

March 17, 2017

ডেস্ক রিপোর্ট : একদিনে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ওয়ারেন্টেভুক্ত আসামি এম আব্দুল্লাহেল বাকীকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ঠিক তখনি আরেক রাজাকার ও ওয়ারেন্টের আসামি রোকনুজ্জামান খানের পরিবার দ্বারা পরিচালিত নবজীকন ইন্সটিটিউটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের কেক কাটলেন সাতক্ষীরা সদর সংসদীয় আসনের সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

উল্লেখ্য, গত ৮মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাব্যুনাল সাতক্ষীরার পলাতক ৩ রাজাকার বাকী, রোকন ও টিক্কার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে গত ১২ মার্চ রবিবার সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধা-জনতা ওই ৩ রাজাকারকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সাতক্ষীরা নিউমার্কেট সংলগ্ন শহিদ আলাউদ্দীন চত্ত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। সেখানে বক্তারা রোকনুজ্জামান খানের পরিবারের প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত নবজীবনকে স্বাধীনতাবিরোধীদের আখড়া আখ্যায়িত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের কাউকে সেখানে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। বক্তারা নবজীবনের পরিচালকদের নিকট থেকে তথ্য নিয়ে পলাতক রাজাকার রোকনকে আটকের দাবি জানান। এরপর রোকনুজ্জামানের আপন ভাই ও নবজীবনের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুজ্জামান খান বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করেন, রোকন ১৯৭১ সালে কোন মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল কি না তা তাদের জানা নেই। সারা সাতক্ষীরার লোক যা জানেÑ রোকনের মায়ের পেটের ভাই তা জানে না!!!! শহিদ জ্ঞান ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও দাবি করেনÑ রোকন নবজীবনের একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী (নির্বাহী পরিচালক) ছিল মাত্র। তার দাবি মতে, ২০১৫ সালে রোকন স্বেচ্ছায় স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেন! পত্রিকান্তরে প্রকাশিত তার এই “দাবিনামায়” শহিদ খান কোথাও উল্লেখ করেননি যে, রোকন তার সহোদর ভাই। এমনকি কেন রোকনের মত আলবদর কমান্ডারকে নির্বাহী পরিচালক করে রাখা হয়েছিল দিনের পর দিন। রোকনের হাতে নিহত একাত্তরের শহিদ পরিবারের সদস্যরা মনে করেন নবজীবন যেহেতু পরিচালিত হয় রোকনের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা তাই তারাই রোকনকে বাঁচানোর মিশন নিয়ে ক্ষমতাসীনদের একটি অংশের আনুকূল্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন। উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠানটিতে ইতিপূর্বে আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন দেশের শীর্ষ মানবতাবিরোধী এবং মৃত্যুদ-ে দ-িত জামাত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ। সম্প্রতি সাতক্ষীরার প্রভাবশালী মহলের একটি বড় অংশ নিয়মিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে পদধূলি দিচ্ছেন। যার কারণ সাধারণ মানুষের কাছে অজ্ঞাত নয়।