বিদেশের খবর: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। বুধবার তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত জাভেদ জারিফের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। খবর বিবিসির।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) বেপরোয়া এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন জাভাদ জারিফ।
এদিকে এক টুইটে জারিফ বলেছেন, তাকে মার্কিন এজেন্ডার জন্য হুমকি মনে করে বলেই যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার বা তার পরিবারের কোনও সম্পদ নেই, তাই এই নিষেধাজ্ঞায় কোনও ক্ষতি হবে না।
ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সরে যায়। এরপর থেকেই দেশটির সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা ফের আরোপ করার পর উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
গত ২০ জুন আমেরিকার একটি চালকবিহীন ড্রোন ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করলে সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। ওই ঘটনা দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপর হরমুজ প্রণালিতে যুক্তরাজ্যের একটি তেল ট্যাংকার আটক করে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।
তবে এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বজায় রাখার সুযোগ দিতে রাশিয়া, চীন ও ইউরোপের দেশগুলোকে দেওয়া ছাড়ের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানিয়েছেন, ৯০ দিনের জন্য এ সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।