কলারোয়া

মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে- ডিআইজি মনিরুজ্জামান

By daily satkhira

March 18, 2017

কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় খুুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান (বিপিএম-পিপিএম) বলেছেন, জঙ্গিদের মূল উদ্দেশ্য হল ধর্মের অপব্যাখা দিয়ে কিছু সরল যুবককে সংগঠিত করে মানুষ হত্যা, সমাজের বিশৃৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং দেশের অর্থনীতিকে বিনষ্ট করা। পুলিশ জীবন বাজি রেখে জঙ্গিদের মোকাবেলা করছে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া জঙ্গিবাদ নির্মূল করা সম্ভব নয়। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে। মাদক ও জঙ্গিবাদের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গিকার” এই স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার সকাল ১১টায় পবিত্র কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে পাইলট হাইস্কুল ফুটবল ময়দানে কলারোয়া থানা পুলিশ প্রশাসনের আয়োজনে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন (পিপিএম) এর সভাপতিত্বে সমাবেশে ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান আরও বলেন, ২০১৩ সালে এই কলারোয়াতে জামায়াত-জঙ্গিরা নাশকতা চালিয়ে নিরিহ ৪ জন মানুুষকে হত্যা করেছিল। পিতার কাছে সবচেয়ে বড় কষ্ট হল পুত্রের লাশ। সেই পিতার সামনে পুত্রকে হত্যা করেছিল জামায়াত সন্ত্রাসীরা। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের পথ শান্তির পথ না, ইসলামের পথ না। এই পথ কখনও মানুষের কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব জনশক্তি রপ্তানিতে শতকারা ৬০ভাগ সেটি হল বাংলাদেশ। এই দেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যম আয়ের শান্তিপূর্ন দেশ। আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলতে চাই। কারণ আমরা এ দেশকে ভালবাসি দেশের মানুষকে ভালবাসি। দেশের কল্যাণে কাজ করার ব্রত নিয়েই পুলিশের দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া মাদকের ভয়াবহ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে কিশোর তরুন সমাজ। যে বয়সে পড়াশুনা ও খেলাধুলায় মনোযোগী হওয়ার কথা। সেই বয়সে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবন থেকে অনেক দুরে ঠেলে দিচ্ছে মাদক। এসব মাদকের নেশায় আক্রান্ত হয়ে অন্ধকার জীবনে ধাবিত হচ্ছে অগণিত তাজা প্রাণ। মাদক নেশা গ্রহণকারী শিশু-কিশোর ও যুবকদের মধ্যে বেশির ভাগ নানান পেশাজীবি পরিবারের সন্তান। যাদের বয়স ১৫থেকে ৩৫ বছর। জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে ৯০দিনের একটি কর্র্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই কর্র্মসূচির বিশেষ অভিযানে যে সকল পুলিশ সদস্য আন্তরিক ও নিষ্ঠার সহিত কাজ করবে এবং মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে তাদেরকে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। এই বিশেষ অভিযানে মাদকাসক্তি ব্যক্তি, মাদক ব্যবসায়ী যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় তাহলে তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতাসহ পুর্র্নবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চরণ করে ডিআইজি মনিরুজ্জামান বলেন কোন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদকের বিষয়ে প্রমান পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিকভাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুুর রহমান (বিপিএম) সাবেক সাংসদ বিএম নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার আরিফুল হক, মেরিনা  আক্তার, উপজেলা নিবাহী কর্র্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, মুুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনুু, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান আরাফাত হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জোৎসা আরা, অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, শিক্ষাবিদ এম এ ফারুক,  শিক্ষার্র্থী সামিউর রহমান, আসমা খাতুন, ইউপি চেয়ারম্যানগন শামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবুু, আবুল কালাম, শেখ ইমরান হোসেন, মাস্টার নূরুল ইসলাম, আফজাল হোসেন হাবিল, এসএম মনিরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, আলহাজ্জ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, আসলাম খান, মাহবুবুর রহমান মফে, রবিউল হাসান, থানার ওসি ইমদাদুল হক শেখ, (ওসি তদন্ত) আক্তারুজ্জামান, এসআই ইয়াছিন আলী, পিন্টু লাল দাস, অমিত কুমার, গোলাম আজম, সেলিম রেজা, রফিকুল ইসলাম, এএসআই রতন হাজরাসহ থানা পুুলিশের সকল কর্র্মকর্র্তাবৃন্দ প্রমুখ। সমগ্র সমাবেশ পরিচালনা করেন সাংবাদিক অসীম চক্রবর্র্তী।