কালিগঞ্জ

লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেও বহাল তবিয়তে বীমা কোম্পানির ইনচার্জ

By Daily Satkhira

March 19, 2017

এস এম আহমাদ উল্ল্যাহ বাচ্ছু : কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলা এলাকার সাধারণ মানুষদের প্রলোভন ও ভবিষ্যতে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্বসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর শ্যামনগর উপজেলা ইনচার্জ কনিকা পালের বিরুদ্ধে। সে শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামের মৃত সুশীল চন্দ্র পালের মেয়ে। এলাকার শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ ভূক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কনিকা পাল বিভিন্ন সময় সরলমনা মানুষদের ভুল বুঝিয়ে মেয়াদপুর্তি ডিপোজিট পরিকল্প গ্রহণ, প্রতি মাসে লাখ প্রতি ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ, ও এক বছর মেয়াদে জমাকৃত আসল টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে ষ্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে গ্রাহকদের পলিসি করান, যা প্রচলিত বীমা আইন ও নীতিমালার পরিপন্থী। পলিসির গ্রাহকরা খবর নিয়ে জানতে পারেন বীমা পলিসি নবায়নের জাল রশিদ প্রদানের মাধ্যমে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভারতে চলে গেছেন। গ্রাহকবৃন্দ বিষয়টি সর্ম্পকে ভালভাবে জানতে ও প্রতিকারের আশায় মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর জেলাসহ প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করে। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ জানায় উপজেলা ইনচার্জ কনিকা পালের উপস্থিতি ছাড়া কোন ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব নয়। এদিকে কনিকা পালের বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মৃত পন্ডিত চন্দ্র মন্ডলের ছেলে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সন্তোষ কুমার মন্ডল, বড়-ভেটখালী গ্রামের মৃত হারান চন্দ্র মাঝির ছেলে অনিল চন্দ্র মাঝিসহ বেশ কয়েক জনের নিকট থেকে ব্যাক্তিস্বার্থ ও প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে আতœসাৎ করেছেন এই মর্মে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোঃ লিঃ এর মাকেটিং এন্ড প্রশাসন বিভাগের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। এছাড়া নির্ভরযোগ্য সূত্র আরো জানায়, কনিকা পালের বিরুদ্ধে মেঘনা লাইফ ইন্স্যু কোম্পানী কর্তৃপক্ষ ২০ লাখ টাকা আতœসাৎ করার অভিযোগে সাতক্ষীরা আদালতে মামলাও দায়ের করেছেন। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ কানিকার গ্রাহকদের আত্মসাৎকৃত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে তাকে পুনরায় চাকুরীতে বহাল করেন। দিকে সুচতুর কনিকা পাল কোম্পানীর টাকা নয় ছয় করে ২০১২ সালে দিকে ভারতে পাড়ি জমিয়ে ২০১৬ সালে প্রথম দিকে তার এক নিকট আত্মীয়ার ম্যাধ্যমে কোম্পানীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পূনরায় চাকুরীতে যোগদান করেছেন। কর্মস্থলে ফিরেই তিনি অভিযোগকারী গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ, হুমকি ধামকীসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। বীমা গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা আতœসাৎ করার বিষয়ে ইনচার্জ কনিকা পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের জানান, আমার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ আছে সেটা আমার জানা নেই। প্রকৃত পক্ষে এলাকায় কিছু ব্যাক্তি ও আমার অফিসের সহকর্মীরা সামাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। অর্থ আতœসাৎ এর কোন বিষয় আমার অফিসে ঘটনা ঘটেনি। শারিরীক অসুস্থ্যতার কারনে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দিন ভারতে অবস্থান করায় গ্রাহকবৃন্দ আমাকে নিয়ে এমন খবর প্রচার করছে।