নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পৌর এলাকার রাস্তা গুলো খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থা সৃষ্টি হলেও সড়ক সংস্কারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এতে প্রায় প্রতিদিনই শহরে ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনার। শহরের বাঁকাল থেকে খুলনা রোড পর্যন্ত সড়কের বড় বড় গর্তে প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। গর্তে পড়ে মাইক্রো, প্রাইভেট, মটরসাইকেলসহ যানবাহনের ব্যাপক ক্ষক্ষতি হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ করেন, ঠিকাদার সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় ৫ বছরের স্থায়িত্বের রাস্তা ৫ মাসেই নষ্ট হয়ে গেছে। ছাল চামড়া উঠে যায়। সূত্র জানায়, খানা-খন্দ, আর ধুলা-বালির শহরে পরিণত হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা শহর। বিশেষ করে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড় থেকে বাঁকাল কোল্ডস্টোর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটর সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার উপর ভরে গেছে ছোট ছোট অসংখ্য পাথর আর খোয়ার টুকরায়। রাস্তার ছালচামড়া উঠে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়েছে যে, যানবাহন তো দূরের কথা, প্রধান সড়ক দিয়ে পায়ে হাঁটতে গেলেও শরীর কেঁপে উঠে। অথচ প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার পথচারীকে চলতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ এই সড়ক দিয়েই। শুধু তাই নয়, সাতক্ষীরা ইটাগাছা হাটের মোড় থেকে বাঁকালস্থ ছফুরননেছা মহিলা কলেজ পর্যন্ত (সাতক্ষক্ষীরা-মুন্সগঞ্জ সড়কের) সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকার দু’ধারে রাখা হয়েছে যত্রতত্র কয়েক’শ ট্রাক। এই এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যানজটে নাকাল হয়ে পড়ছে পথচারীরা। কিন্তু এসব রাস্তার যেন কোন অভিভাবক নেই। চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বাঁকাল পর্যন্ত সংস্কার কাজ করা হয়। ব্যয় করা হয় প্রায় অর্ধকোটি টাকা। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের টানা বর্ষনে জেলা শহরের ব্যস্ততম এই সড়কের ছাল-চামড়া উঠে গেছে। অসংখ্য খানা, খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অত্যন্ত নিম্নমানের সংস্কার কাজ হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাথর, খোয়ার টুকরা আর ধুলা, বালিতে ভরে গেছে সমস্ত রাস্তা। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার সংস্কার কাজ রাতে হওয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়ম বেশি হয়েছে। যার কারণে কয়েক মাস যেতে না যেতেই রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃদ্ধ আজিজুর রহমান (৭০) জানালেন, জেলা শহরে চলছি বহুকাল ধরে। কিন্তু এতো ভয়াবহ পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাটারও পরিস্থিতি নেই। অন্যদিকে সাতক্ষীরা বিজিবি ক্যাম্পের দুই গেটের মাঝখানের রাস্তার অংশটুকু মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন কয়েকটি গাড়ি, ভ্যান উল্টে যাচ্ছে। রাস্তার উপর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। মিলবাজার এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, রাস্তার এমন অবস্থা হলেও আমাদের কর্তা ব্যক্তিরা চোখে দেখেন না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বৃষ্টির দিনে পাকা রাস্তায় চলতে গিয়ে প্রতিদিন আমাদের ভিজতে হচ্ছে। চার চাকার গাড়িতে গেলে রাস্তার অবস্থা দেখা যায় না। রাস্তার এ অবস্থার কারণে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে বলে স্থানীয়রা আরো জানান। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।