আসাদুজ্জামান: পারিবারিক কলহের জেরে সাতক্ষীরায় একগৃহবধুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোর রাত তিনটার দিকে শহরের সুলতানপুর পালপাড়া নামকস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহবধু দিপিকা হাজরা কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ওমিয় হাজরার ছেলে। নিহত গৃহবধুর মা কল্পনা হাজরা জানান, ২০১৮ সালে তার মেয়ের সাথে বিয়ে হয় সুলতানপুর পালপাড়া গ্রামের অপারেশ পালের ছেলে অনিমেষ পালের সাথে। বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে তারা প্রায়ই মারধর করতো। চাহিদামত তাকে কয়েকদফা যৌতুকের টাকাও দেওয়া হয়। তার জামাই অনিমেষ পাল বাগেরহাটে চাকুরি করতো। মেয়েকে সেখানে যেতে দিতো না শাশুড়ি নিয়তি পাল ও শশুর অপারেষ পাল। এমনকি মোবাইলেও জামাইয়ের সাথে কথা বলতে দিতো না। গত চারদিন আগে তার বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে যায় তার জামাই। মেয়ে প্রথমে যেতে না চাইলে তাকে সেখানেও মারধর করা হয়। মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে জামাই ফোন করে বলে আপনার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনা শোনার পর আমরা এসে দেখি মেয়ে ঘরের ভিতর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। জামাই ও তার বাড়ির লোকজন বলতে থাকে রাতে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়েকে নামানোর পর তার শরীরে দেখা যায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে প্রথমে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার দেওয়া হয়েছে। তবে, নিহতের স্বামী অনিমেষ পাল ও শ্বশুর অপারেশ পাল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দিপীকা আতœহত্যা করেছে। তাকে কেউ নির্যাতন করে হত্যা করে নাই। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।