শ্যামনগর

শ্যামনগরে জরাজীর্ণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ॥ ঝুঁকিতে রোগীরা

By daily satkhira

August 14, 2019

মামুন, শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের সাড়ে চার লক্ষ মানুষের একমাত্র স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী শ্যামনগর সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থায় চলছে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। আইলা, সিডর আক্রান্ত বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের সর্ব বৃহৎ এই উপজেলায় একমাত্র হাসপাতালটি স্বাস্থ্যসেবায় কয়েকবার সুনামের সাথে গৌরব অর্জন করলেও জরাজীর্ণ বিল্ডিং এর সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অসহায়, গরিব দুঃখী মানুষ। শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরা জেলা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৫৫ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে সাধারণ মানুষ জেলা সদরে যেয়ে অর্থ ব্যয় করে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে না। যার কারনে জীবন বাজি রেখে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের নিচে স্বাস্থ্য সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন জীবন বাঁচাতে এসে জীবন চলে যায় কিনা সেই আতঙ্কে থাকতে হয় সব সময়। হাসপাতালের ভিতরে রোগীদের ও রোগীর আত্মীয়স্বজনের ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারেনা ছাঁদ থেকে প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে বালুকণা, রং এবং ড্যাম পড়া ঢালাইয়ের চট্টলা। দেখা যাচ্ছে ছাদের রড বেরিয়ে গেছে অনেকখানেই। ডাক্তার নার্সদের সেবার প্রচেষ্টা থাকলেও আমাদের জরাজীর্ণ ছাদের নিচে থাকতে ভয়, ভয় করে। কখন না উপর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ে মাথার উপরে চলে যায় প্রাণ । গতকাল মঙ্গলবার আমাদের সামনেই ছাদ ভেঙে পড়েছে রোগীর পায়ের পাশে, অল্পের জন্য গায়ে পড়েনি। হাসপাতাল টি স্বাস্থ্য সেবায় সারা বাংলাদেশে কয়েক বার টপ টেন এর ভিতরে থেকে সুনামের সাথে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেছেন শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখন আর নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সে সুনামের সাথে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ‌। অফিস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানাযায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অজয় কুমার সাহা মৌখিকভাবে ও লিখিত ভাবে নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনা বিভাগ, খুলনা। বরাবর, লিখিতভাবে জানানো হয়েছে 50 শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবন, পুরাতন ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হইয়া পড়েছে ‌। স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে জাতীয় সংসদ সদস্য সাতক্ষীরা-৪। সিভিল সার্জন, সাতক্ষীরা। সহকারী প্রকৌশলী স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সাতক্ষীরাসহ বিভিনন্ন দপ্তরে। শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালটি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলো পুরুষ ওয়ার্ড, মহিলা ওয়ার্ড, গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ, শিশু বিভাগ সহ সব বিভাগেই দুই শত বেশি রুবি থাকেন। স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন আউটডোরে কয়েক শত রোগী। সাম্প্রতিক সারা বাংলাদেশের ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল প্রকার সরকারি ছুটি বাতিল করায় নিরলসভাবে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। শ্যামনগরের সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতে স্বাস্থ্যসেবা না নিতে হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ‌