অসীম কুমার ঘোষ, কেশবপুর : কেশবপুরে জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সিসিডিবি-এর সহযোগিতায় হতদরিদ্র ফুলমতি দাস আজ স্বাবলম্বি। সরেজমিন জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামের ঋষি পল্লীতে দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতা ছিল। জলাবদ্ধার করণে জমিতে ফসল হত না। ঋষি পল্লীতে যাতায়াতের কোন রাস্তা ছিল না। ঐ গ্রামের হতদরিদ্র ফুলমতি দাসের স্বামী শিবপদ দাস ভ্যান চালিয়ে সামান্য রোজগার দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করত। গত বছর দাতা সংস্থা ইকো ও খ্রীষ্টিয়ান এইড-এর সহযোগিতায় সিসিডিবি-এর বাস্তবায়নে বিদ্যানন্দকাটি ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বি করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে। তারই অংশ হিসাবে তারা বাউশলা গ্রামের ঋষি পল্লীতে যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি বালিমাটি দিয়ে উঁচু করে এবং প্রতিটি বসত ভিটাও বালি-মাটি দ্বারা উঁচু করে। এসময় উক্ত সংস্থা ফুলমতি দাসকে ১৮ হাজার টাকা প্রদান করলে সে তাঁর স্বামী শিবপদ দাসের ভ্যানটিকে মোটর ভ্যানে উন্নীত করে। সিসিডিবি-এর কর্মকর্তাদের পরামর্শে ফুলমতি দাস তার ৫ শতকের বসতভিটার আঙ্গিনায় বেগুন, টমোটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ-সহ বিভিন্ন প্রকার সবজীর চাঁষ করেছে। ৩ শতকের পুকুরটি সংস্কার করে মাছ চাষ করেছে এবং বাড়ির সামনে ৫ শতক জমিতে ধান চাষ করেছে। বর্তমানে মোটর ভ্যান চালিয়ে ফুলমতির স্বামী শিবপদ দাস সংসারের ব্যায়ভার বহন করেও প্রতিদিন কিছু টাকা সঞ্চয় করছেন। ফুলমতিও বাড়ির আঙ্গিনায় উৎপাদিত সবজী পরিবারের চাহদা মিটিও বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। বর্তমানে ফুলমতি দাসের ৪ সন্তান স্কুলে লেখা-পড়া করছে। ফুলমতি দাসের ন্যায় দাতা সংস্থা ইকো ও খ্রীষ্টিয়ান এইড-এর সহযোগিতায় সিসিডিবি-এর বাস্তবায়নে বিদ্যানন্দকাটি ও ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০১ টি হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বি হয়েছে। প্রকল্পটি ঐ ২ ইউনিয়ন ছাড়াও বাকি ৯ টি ইউনিয়ন ও কেশবপুর পৌরসভায় জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারকেও সাবলম্বি করার জন্য প্রকল্প গ্রহণে দাতা সংস্থাদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।