সাতক্ষীরা

শিমুলবাড়ীয়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মৎস্যঘের লুট

By daily satkhira

August 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিমুলবাড়ীয়ায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় ইউপি মেম্বরের নেতৃত্বে মৎস্যঘের লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ফিংড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ীয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী মৎস্য ঘেরের মালিক প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শিমুলবাড়ীয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান সরদারের পুত্র এস এম রবিউল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তিসহ একসাথে থাকা ৩বিঘা সম্পত্তি সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে লীজ নিয়ে মোট ৬ বিঘা সম্পত্তিতে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি একই এলাকার বেলায়েত হোসেন ঢালীর পুত্র পর সম্পদলোভী ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের কু নজর পড়ে রবিউল ইসলামের মৎস্য ঘেরের উপর। এর জের ধরে মেম্বর মিজানুর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ২০১৭ সালের দিকে মেম্বর মিজানুর স্থানীয় প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির মদদে রবিউল ইসলামের পৈত্রিক ও লীজ নেওয়া সম্পত্তি উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ শুরু করে। এঘটনায় লীজ নেওয়ার সম্পত্তি এস এ রেকর্ডীয় মালিক প্রদীপ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সরকারের প্রতিনিধিদের বিবাদী করে মামলা দায়ের করে। যার নং- দেং-৫৮/২০১৬। আদালত উক্ত সম্পত্তিতে তাদের না যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে গত ৯ মে ২০১৯ তারিখে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু তারপরও উক্ত পরসম্পদ লোভী মেম্বর ওই জনপ্রতিনিধির মদদে সরকার বাহাদুরের কোন প্রতিনিধি না নিয়ে স্থানীয় মৃত জামাল উদ্দীন খাঁর পুত্র হাফিজুল ইসলাম খাঁ, ইবাদুল খাঁ, রফিকুল খাঁ, নূর আলীর পুত্র মুছাসহ কয়েকজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ১৬ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ওই মৎস্য ঘেরে হামলা করে। এসময় তারা ঘেরের ভেড়ী কাটা দেয় এবং প্রায় ২লক্ষাধিকটাকার মাছলুটপাট করে। মৎস্যঘেরের মালিক রবিউলসহ তার ভায়েরা বাধা দিতে গেলে উল্লেখিত বাহিনী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ওইদিনই ভুক্তভোগী রবিউল সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এবিষয়ে মেম্বর মিজানুর রহমান বলেন, সেটি সরকারি খাস খাল। তাই ইউএনও ও এসিল্যান্ড স্যারের অনুমতিতে এটি করা হয়েছে। উচ্ছেদের সময় ইউএনও ও এসিল্যান্ড এর কোন প্রতিনিধি ছিলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবের তিনি বলেন এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলেন। এছাড়া এস এ রেকর্ডীয় মালিক প্রদীপের দায়ের করা মামলাটির কোন ভিত্তি নেই বলে তিনি দাবি করেন।