আশাশুনি

আশাশুনি আনসার ভিডিপির কোম্পানি কমান্ডার(মহিলা) পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

By daily satkhira

August 18, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূয়া ও জাল সনদপত্র দিয়ে আশাশুনি উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার(মহিলা) পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা আনসার ভিডিপি’র জেলা এ্যাডজুটেন্ট ও আনসার ভিডিপির খুলনা বিভাগীয় পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলা কোম্পানি কমান্ডার(মহিলা) পদে নিয়োগের জন্য আশাশুনি এলাকার আমিরুল ইসলামের স্ত্রী মারুফা খাতুন আবেদন করেন। অন্যদিকে একই এলাকার মোঃ কামরুল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন সহকারী কমান্ডার পদে আবেদন করেন। আবেদনের জন্য ৮ম শ্রেণির শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন থাকলেও জালিয়াতির মাধ্যমে এস এস সি ও এইচ এস সি ও আনসার ভিডিপি’র মৌলিক সনদ নকল করে রাবেয়া খাতুন। মারুফা খাতুনের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এটা উপস্থাপন করে এবং মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মেহরাব হোসেনকে ম্যানেজ করে সহকারি কমান্ডার পদে আবেদনকারী রাবেয়া খাতুনকে কমান্ডারপদে নিয়োগ দেন। উক্ত পদে নিয়োগের জন্য যে সব প্রশিক্ষণগুলো প্রয়োজন তার কোনটিই রাবেয়া খাতুনের নেই। শুধু মাত্র মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়ম বহিূর্ভতভাবে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ মারুফা খাতুন দীর্ঘ ১২ বছর উক্ত বিভাগের কর্মরত আছেন। মারুফা খাতুন প্রশিক্ষণের জন্য সৌদআরবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা থাকার পর তাকে নিয়োগ না দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে রাবেয়া খাতুনকে নিয়োগ দেওয়ায় উপায়ন্ত হয়ে ভুক্তভোগী মারুফা খাতুন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা আনসার ভিডিপি’র জেলা এ্যাডজুটেন্ট ও আনসার ভিডিপির খুলনা বিভাগীয় পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার মেহরাব হোসেনের সাথে মারুফা খাতুন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জেলা এ্যাডজুটেন্ট স্যার টাকা পয়সা নিয়ে রাবেয়া খাতুনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এঘটনায় রোববার বিকাল ৬.১২ মিনিটে জেলা এ্যাডজুটেন্ট কে এম মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তো মারুফা খাতুনকে চিনতে পারছি না। আর টাকা নেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। তিনি অফিসে গিয়ে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।