আব্দুল জলিল: গ্রামের নাম উত্তর তলুই গাছা । সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১নং বাশদহা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াড। এই গ্রামের দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার কারণে মানুষের দূভোগের সীমা নেই। বর্ষা মৌসুমে মানুষ সাইকল, মোটর সাইকেল নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারে না । ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারে না। মুসলমানদের নামাজের জন্য সমজিদে যেতে দূভোগের পোহাতে হয়। নির্বাচন আসলে প্রাথীরা এই রাস্তায় ইটের সলিং করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর দেখা মেলে না।
জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১নং বাশদহা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াড উত্তর তলুই গাছা। এই গ্রামের পশ্চিম দিকে ভারত সীমান্ত। দক্ষিণ দিকে কুশখালী ইউনিয়ন ও উত্তর দিকে কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রাম । পূর্ব দিকে গড়িয়াডাঙ্গার বিল। পাঁচ হাজার মানুষের বসবাস এই গ্রামে । গ্রামে মধ্যে হাইস্কুল, মাদরাসা, কলেজ কিছু নেই । ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য যেতে হয় অন্য কোন গ্রামের স্কুল, কলেজে। গ্রামের ভিতরে আছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। নামাজ আদায় করার জন্য রয়েছে দুটি মসজিদ। গ্রামের ভিতরে দেড় কিলোমিটার কাচা রাস্তা রযেছে। বর্ষা মৌসুমে এই কাচা রাস্তায় প্রচুর পরিমানে কাঁদা হয়। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না। ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে দারুন দূভোগ পোহাতে হয়। গ্রামেবাসি ইসাহাক আলী, আব্দুল আহ্দা,ইকবাল হোসেন, ইমরান হোসেন জানান, মানুষ মসজিদে নামাজ আদায় করতে যেতে হিমসিম খায়। চাকুরিজীবিরা সাইকেল, মোটরসাইকেল, নিয়ে বের হতে পারে না । নির্বাচনের সময় প্রাথীরা রাস্তায় ইটের সলিং করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পরে তাদের আর দেখা মেলে না।এই রাস্তা করার জন্য তারা অনেককে বলেছে । সবাই রাস্তাটি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে আজ পর্যন্ত রাস্তাটি কেই করে দেয়নি । মোফাজ্জেল. মতিয়ার, আসাদুজ্জামান জানান, এই গ্রামে মুসলমান, হিন্দু মিলে পাঁচ হাজার লোক বসবাস করে । গ্রামবাসির দূভোগের কারণ এই দেড় কিরো মিটার কাচা রাস্তা । রাস্তাটি ইটের সলিং করা খুব দরকার । সরকার একটু সুদিষ্টি দিলে রাস্তটি হবে । স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস সামাদ গ্রামবাসির দূভোগের কথা স্বীকার করে জানান, রাস্তাটি করার জন্য তিনি উপরে যোগাযোগ করছেন।