নিজস্ব প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটার একাধিক নাশকতা মামলার আসামীর নেতৃত্বে দখলের উদ্দেশ্যে বসত ঘর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পাটকেলঘাটা থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং- ৫, তারিখ- ১৮ আগস্ট-২০১৯। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাটকেলঘাটা এলাকার চোমরখালী এলাকার আনার আলী মোড়লের পুত্র লিটন হোসেন রাজেন্দ্রপুর মৌজায় সাত শতক সম্পত্তি ৩৩১৮ নং দলিলে ১৩সেপ্টেম্বর ১৭ তারিখে ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত ফাতেমা বেগম ও নাজমা বেগমের কাছ থেকে ক্রয় করে বসত ঘর ও দোকান নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কিন্তু পাটকেলঘাটার চোমরখালী এলাকার মৃত দবির উদ্দীন মোড়লের পুত্র একাধিক নাশকতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বাকী বিল্লাহর কু পরামর্শে ফাতেমা ও নাজমার বিক্রয় করা সম্পত্তি তাদের মামা সোহরাব হোসেন অবৈধভাবে দখলের পায়তারা শুরু করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী লিটনের পিতা প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- পি-১৪৮৯/১৭। আদালত উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ২৭ জুন ২০১৮ তারিখে ১৪০৩ নং স্মারকের ৭ নং আদেশে উভয় পক্ষের আবেদন ও রিপোর্ট মতে উভয় পক্ষের স্ব স্ব দখল বজায় রেখে মামলা নিস্পত্তি করে দেন এবং আদেশের মর্মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী লিটন হোসেন কাটাতার ও পিলার পুতে তার সীমানা নির্ধারণ পূর্বক বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু সুচতুর ও পরসম্পদলোভী বাকী বিল্লাহ আদালতের ওই নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে গত ১৮ আগস্ট ২০১৯ তারিখে বাকী বিল্লাহ এর নেতৃত্বে তার ভাই শরিফুল, আরিবিল্লাহ, আমতলারডাঙ্গা গ্রামের মৃত কছিম উদ্দীন সরদারের পুত্র সোহরাব হোসেন, মৃত খান জাহান আলীর পুত্র সেলিম সরদার, সোহরাবের পুত্র রাসেল সরদারসহ ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী দা, কুড়াল, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমতলারডাঙ্গ মোড়ের ওই সম্পত্তিতে গিয়ে বসত ঘর, দোকান ভাংচুর করতে এবং লিটনের দেওয়া তারের কাটার ঘেড়া বেড়া কাটতে থাকে। এতে বাধা দিতে গেলে লিটনের বৃদ্ধ পিতা আনার আলী মোড়ল, ভাই মিলন হোসেনকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে বাকী বিল্লাহর ভাই শরিফুল মিলন হোসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে। তাদের চাচাতো ভাই শাহিনুর মোড়ল প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সে সময় তারা দোকান ও বসতঘর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয় এবং শাহিনুরের দোকানের থাকা টাকা লুটকরে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনের পিতা আনার মোড়ল, ভাই মিলন ও চাচাতো ভাই শাহিনুর কে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত মিলনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এঘটনায় আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী ওই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ওই রাতেই পাটকেলঘাটা থানায় ৬ জনকে আসামী করে ভুক্তভোগী লিটনের মাতা আকলিমা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৫।