ন্যাশনাল ডেস্ক : এ বছরের বিশ্ব সেরা শিক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘গ্লোবাল টিচার্স প্রাইজ’ হাতে বাংলাদেশের শাহনাজ পারভিন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মনোনীত ৫০ জন সেরা শিক্ষকের একজন হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। রবিবার (১৯ মার্চ) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘পঞ্চম গ্লোবাল এডুকেশন ও স্কিলস ফোরামে’র সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সোমবার (২০ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সচিব মো. মনজুর হোসেন, দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এস. বদিরুজ্জামান এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. রফিক আহমেদ। এবারের সম্মেলনের মূল ফোকাস ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪০ জন শিক্ষামন্ত্রী এ ফোরামে অংশ নেন। এছাড়া ১৪০টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের শিক্ষাবিদ, পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। উল্লেখ্য, ভারকি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা এ পুরস্কারের প্রবর্তক। গত তিন বছর ধরে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে সংস্থাটি। সম্প্রতি ভারকি ফাউন্ডেশন ২০১৭ সালের জন্য সেরা শিক্ষকদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে। ৫০ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষকদের সঙ্গে ছিল বগুড়ার শাহানাজ পারভীনের নামও। বিশ্বসেরা পঞ্চাশ শিক্ষকের তালিকায় থাকা বাংলাদেশের শাহনাজ পারভিন বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শাহনাজের বাবা ও মা দুজনই ছিলেন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিশু ঝরে পড়া সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেন এই শিক্ষক। এছাড়া শিক্ষা পদ্ধতিতে প্রযুক্তি ও বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনের ওপর জোর দেন। নতুন শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিয়মিত আয়োজনের পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ে গবেষণাও করেন। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা নিতে কেনও ব্যর্থ হচ্ছে সেটি তার গবেষণার প্রধান বিষয় ছিল। এর আগে ২০১০ সালে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সেরা শিক্ষকের পুরস্কারেও ভূষিত হন শাহানাজ। এর তিন বছর পর দেশের সেরা শিক্ষকের মর্যাদাও পান তিনি।