মামুন, শ্যামনগর প্রতিনিধি : ইটভাটা শ্রমিকদের দাদনের অগ্রীম টাকা দেয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে রাজু সানা (৩০) নামের এক যুবককে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ আগস্ট বেলা একটার দিকে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চাউলখোলা মসজিদের পার্শ্ববর্তী রাস্তার উপর। ঘটনার পরপরই মারাত্বক আহত রাজুকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। আহত রাজু সানার মাথায় ছয়টি এবং শরীরের অপরাপর অংশে অসংখ্যা সেলাই দিতে হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছে। রাজু সানা চাউলখোলা গ্রামের এলেম বকস সানার ছেলে এবং ইট ভাটার সাইট সর্দার (সর্দারের সহকারী) হিসেবে কাজ করে। এঘটনায় রাজু সানা বাদি হয়ে হামলার সাথে জড়িত ও টাকা ছিনিয়ে নেয়া ১০ জনকে অভিযুক্ত করে শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় মুকুল সানা ঢাকা ও বরিশালের বিভিন্ন ইটভাটা মালিকদের কাছে শ্রমিক সরবরাহ করে থাকে। রাজু সানা মুকুল সানার সহযোগী হিসেবে কাজ করে। সম্প্রতি মুকুল সানার নিকট থেকে একই গ্রামের আব্দুর রশিদ, হোসেন ও হাসান সানা নামের তিন ব্যক্তি তার নির্ধারিত ইটভাটার কাজে যাওয়ার শর্তে দাদনের টাকা নেয়। কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে অন্য ইটভাটা সর্দারের নিকট থেকেও টাকা নেয়ায় মুকুল সানার সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। অভিযোগ উঠেছে সোমবার বেলা একটার দিকে মুকুল সানার নির্ধারিত ইট ভাটার কাজে যেতে সম্মত অপরাপর শ্রমিকদের দাদনের অগ্রীম টাকা দিতে রওনা হয় রাজু। মুকুল সানার নিকট হতে টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে রওনা হওয়ার পর পথিমধ্যে চাউলখোলা মসজিদের পাশে পৌছালে আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে ৫/৬টি মটর সাইকেলযোগে ১০/১২ জন যুবক ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শফিকুল ইসলাম শফির উপস্থিতে তার গতিরোধ করে। রাজুর কাছে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে, রাজু ছিনতাইকারীদের বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা ধারালো দা এবং লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে সমুদয় টাকা নিয়ে চলে যায়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজুকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। এঘটনায় রাজু বাদি হয়ে আব্দুর রশিদ, হাসান, হোসেন, হাবিবুল্লাহ, আমিরুল, আব্দুল হামিদ, হাফেজ মল্লিক, লুৎফর শেখ, তৌহিদ ও বারী মল্লিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে রাজুর মাথা ও হাতে সেলাই দেয়া হয়েছে, শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং সে এখন শঙ্কামুক্ত। তবে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি।