নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশুনির খাজরায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু ডজন মামলার আসামীর নেতৃত্বে ৬জন কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডা মফিজুলের দোকানের সামনে এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন, চেউটিয়া গ্রামের লতিফ সরদারের পুত্র কবির সরদার, মিলন সরদার, মৃত কাদের সরদারের পুত্র সাত্তার গাজী, সামাদ গাজী ওজিয়ার রহমানের পুত্র আজিজুল ইসলাম ও সাত্তার গাজীর স্ত্রী রোকেয়া খাতুন। আহত রোকেয়া ও স্বজনরা জানান, তুচ্ছ ঘটনায় কাপসন্ডা এলাকার সুন্দর মোড়লের পুত্র আশাশুনি থানায় চুরি,ডাকাতিসহ প্রায় ৪০টি মামলার আসামী রমজান গং এর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চেউটিয়া এলাকার কবির উদ্দীনের পুত্র খুলনা আহছান উল্লাহ কলেজের একাদশ শ্রেণির বাবু মটরসাইকেল নিয়ে কাপসন্ডা এলাকায় পৌছালে রমজানের ভাইপো সাকিল ও নুরুল্লাহ তার গতিরোধ করে মারপিট করে। বাবু বিষয়টি তার পিতা কবির উদ্দীনকে জানালে কবির ও তার ভাই মিলন ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্র রমজানের নেতৃত্বে তার সহযোগী কাপসন্ডা গ্রামে জোনাব গাজীর পুত্র আঃ সাত্তার, আমিনু উদ্দীন সরদারের পুত্র রায়হান উদ্দিন খোকা, সামাদ সরদারের পুত্র রাকিব সরদার, চেউটিয়া গ্রামের আমজাদ সরদারের পুত্র নুরুল্লাহ, সৈয়দ আলির পুত্র শাকিল মোড়ল ও সাকিব মোড়ল, আমিরুলের পুত্র রাকিব মোড়ল সহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্র দা, চায়নিজ কুড়াল , লোহার রড এবং বালতি ভর্তি বোমা নিয়ে তাদের তাড়া করে। কবির ও মিলন জীবনের ভয়ে পাশ^বর্তী সাত্তার গাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় রমজান ধারালো কুড়াল দিয়ে সাত্তার গাজীর বাড়ি দরজা কুড়িয়ে ভেঙে বের করে কবিরের মাথায় ধারালো কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মিলনের পা ভেঙে দেয়। এতে বাধা দিতে হলে সাত্তার গাজী ও তার ভাই সামাদ গাজীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া সাত্তার গাজীর স্ত্রী রোকেয়াকেও মারপিট করে। এতে কবির, মিলন ও সামাদ গাজী গুরুতর আহত হয়। স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের মধ্যে সামাদ গাজী ও কবির উদ্দীনের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে সামাদ গাজীর অবস্থার বেশি অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এবিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ৬জনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।