পলাশ দেবনাথ নুরনগর : শ্যামনগর উপজেলার কৈখালীতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে কয়েকটি দালাল চক্র মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অত্র ইউনিয়নের কয়েক শত পরিবারের কাছ থেকে প্রথমে পাঁচ শত টাকা পরে সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ জন সচেতনতার জন্য মাঠে নেমেছে। কিন্তু অনেকের ধারনা পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষের উপর মহলও সংশ্লিষ্ট দালালদের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ বানিজ্যের সাথে জড়িত থাকতে পারে। সে কারনে পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ সহ,সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ অথবা প্রশাসনের অন্য কোন দপ্তর দিয়ে অবৈধ অর্থ বানিজ্যের বিয়টি তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।এরই মধ্যে দালাল চক্রটি এলাকায় প্রচার দিয়েছে যদি কেউ টাকার কথা প্রকাশ করে তাহলে কেয়ামতের আগেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে না। এই কথা শুনে ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে নাও পারে। ভুক্তভোগীরা প্রশ্ন তুলেছে সংশ্লীষ্ট কতৃপক্ষ দিয়ে সচেতনতা মূলক কথা বলে কি লাভ ? যদি টাকা ছাড়া অথবা দালালদের ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ না পায় ? তাদের দাবি নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ অথবা প্রশাসনের অন্য কোন দপ্তর দিয়ে অবৈধ অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি গুরুত্বদিয়ে খতিয়ে দেখে দালাল চক্রের শাস্তী নিশ্চিত করা। বিষয়টি গুরুত্ব না দিলে সরকারের ভাব মুর্তি ক্ষুন্য হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। পল্লী বিদ্যুতের জেলা শীর্ষ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেছেন একটি মিটার বাবদ ৪৫০টাকার বেশি না দিতে। তবে অনুসন্ধ্যানে জানাগেছে উপজেলার ৯৫ শতাংশ মিটার প্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট দালালদের। যারা মিটার নিয়েছেন তাদের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানাগেছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সদইচ্ছা ও সহোযোগিতা কামনা করেছেন এলাকাবাসি।