তরিকুল ইসলাম লাভলু : কালিগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের পাইকাড়া গ্রামে আফরোজা খাতুন (২৫) নামের দুই সন্তানের জননী হত্যা হয় গত ৯মে। আফরোজার আছে ছিয়াম ও সিহাব নামের দুই শিশু সন্তান। আফরোজা খাতুন ঐ গ্রামের শাহাজাহানের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৪) এর স্ত্রী ও বাউনচ্চক গ্রামের মৃতঃ রাশেদের মেয়ে। শাশুড়ী আলেয়ার হাতে আফরোজা হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। থানা পুলিশ এসে লাশ মর্গে পাঠায়। পরবর্তিতে সাতক্ষীরার আদালতে হয় মামলা। মামলায় এ পর্যন্ত ৬জন আসামীর জেল হলেও, বর্তমানে নিহতের অভিযুক্ত শাশুড়ী আলেয়া, সাজিদা, মমতাজ ও নাজমুন্নাহার নামের ৪জন আসামী জেলে এবং আলমগীর হোসেন ও শাহজাহান পাড় নামের দুজন আসামী জামিনে আছে। হত্যার ঘটনাটি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে পানিঘোলার খেলা। হত্যা নয়, আত্ম হত্যা মর্মে ময়না তদন্তের রিপোর্টও অনেকটা পক্ষে নিয়েছে আসামী পক্ষ। যেটা নিয়েও চলছে নানা গুঞ্জন। এদিকে থানা থেকে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। এজন্য ঘটনার সঠিক তদন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই বৃহঃবার বেলা ১০টার দিকে সরেজমিনে মামলার তদন্ত করলেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম। এসময় সাথে ছিলেন মামলার আইয়ু কালিগঞ্জ থানার এএসআই মনির হোসেন। স্থানীয়দের দাবী, কোন প্রভাবশালীর হস্তক্ষেপে যেন ঘটনার ধামাচাঁপা না পড়ে। ঘটনায় সেসময় পড়শিরা প্রকাশ্যে কথা বললেও বর্তমানে অনেকেই মুখ খুলছে না। তাই, প্রয়োজনে আরো কঠিনভাবে তদন্ত করা হোক এবং দুই সন্তানের জননী আফরোজা হত্যার সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার যেন পায় নিহতের দরিদ্র পরিবার বলে দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।