নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ১৮৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বারে রাতের আঁধারে লাইব্রেরী, আসবাবপত্র ভাংচুরসহ আইন ও ধার্মীয় গ্রন্থ অবমাননার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা আইনজীবি সমিতির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জজ কোর্ট সংলগ্ন সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড. এম. শাহ আলম, সাবেক সভাপতি এড. আবুল হোসেন, যশোর জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড. দেবাশীষ রায়, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. ওসমান গণি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, জেলা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি এড. ফাহিমুল কিসলু, এড. সাঈদুজ্জামান জিকো এ আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সহকারি সমিতির সভাপতি বিমল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতি একটি ঐহিত্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এই সমিতির ৫ শতাধিক সদস্য জেলার ২২ লক্ষ মানুষের প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি এই প্রষ্ঠিানের সম্পত্তি নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এরই জেরে গত ২১ আগষ্ট ২০১৯ তারিখে গভীররাতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন এই বারের লাইব্রেরীর তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারীর গ্লাস ভাংচুর করে সেখানে রাখা মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরআন এবং হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ গীতা, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন সম্বলিত বহু বই পুস্তকসহ বাংলাদেশ সংবিধান তছনছ করে এবং সেগুন কাঠের তৈরী শত বছরের পুরাতন চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, তাদের কর্মসূচি পন্ড করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সাতক্ষীরার আইনজীবী সমিতি কারো রক্ত চক্ষুর তোয়াক্কা করে না। তারা সকল বাধা উপেক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। আইনজীবীদের আটকে যাবে না। তাহলে পরিস্থিত ভালো হবে না। এঘটনায় যদি সাতক্ষীরার কোন আইনজীবী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়। তাহলে আমরা বসে থাকবো না। আদালত বর্জনসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বক্তারা এ সময় পুরাতন এই বারের সম্পত্তি রক্ষার্থে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ।