কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার নওয়াড়ায় রাতের আধারে এক বিধবা নারীর বসতবাড়ি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় জগন্নাথপুর (কুলপুকুর) এলাকার মৃত রহিম সানার স্ত্রী সালমা খাতুন দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, পৈত্রিক সূত্রে জমি নিয়ে বসতঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছিল। জমির পাশে জেলা পরিষদের কিছু খাস জমি দীর্ঘদিন তার দখলে ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক তার প্রতিবেশী মৃত ছগির আলীর পুত্র আবু মুছার নজরে পড়ে এই জমিটি। সে গত ২১ আগস্ট রাতে বিধবা নারী সালমা খাতুনের রান্নাঘর ও বসতঘরের বেড়া ও বারান্দা ভেঙ্গে ফেলে। এমনকি ঐ রাতে মুছা, তার পুত্র শাওন ও সোহান এবং তার সহযোগীরা বিভিন্ন হুমকি ধামকী দিয়ে চলে যায়। এতে তারা ভীতস্থ হয়ে পড়ে। পরে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পূর্ব থেকেই ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল বলে আবারো ইউনিয়ন পরিষদ দায়িত্ব নেয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টায় বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষের বসাবসির কথা হয়। কিন্তু আগের রাতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আবু মুছা নিশ্চিত পরাজয় জেনে আবারো উক্ত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ সালমা খাতুনের পরিবারের। এসময় ঘরের ভিতরে আগুন বিস্তার লাভ করলে আগুন নেভানোর জন্য এলাকাবাসী ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে কালিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘরের ভিতরে থাকা সকল জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় দেবহাটা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উক্ত বিষয়ে শুক্রবার সকালে দেবহাটা থানায় আবারো একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান সালমা খাতুন। ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে আরো জানা যায়, এই মুছা একজন ভূমি দস্যু। তার ভাই বা চাচারা পাশ^বর্তী একটি মাদ্রাসায় জমি দান করে। শুধু তার পিতার অংশ দান না করায় দানকৃত সম্পুর্ন সম্পত্তিই মুছা নিজেই লীজ নেওয়ার নাম করে দখল করে নেয়। তাছাড়া পাশ^বর্তী জেলা পরিষদের খাস জমিতে ডিসিআরের নাম করে বিভিন্ন লোককে ভিটা ছাড়া করার পায়তারা চালাচ্ছে এই মুছা। এছাড়া মুছা দেবহাটা উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় ঘের দখলের ঢালী হিসেবে কাজ করে। শ্যামনগর থেকে কয়েক বছর আগে র্যাবের হাতে গ্রেফতারও হয় সে। এবিষয়ে আবু মুছার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। এবিষয়ে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমি ঐ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।