আশাশুনি

আশাশুনি নদীর দয়ারঘাট বেড়ী বাঁধ হুমকির মুখে

By daily satkhira

September 01, 2019

মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলা সদর, দয়ারঘাট ও জেলেখালী গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত খোলপেটুয়া নদীর বেড়ীবাঁধ মারাত্বক হুমকির সম্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। ১৯৬২ সালে নির্মিত এ বেড়ীবাঁধটির আজ অবদী বড় ধরণের কোন সংস্কার করা হয়নি। বাঁধটিতে ফাটল দেখা দিলেই কোন মতে জোড়াতালি দিয়ে দায়সারা ভাবে বাঁধটি টিকিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বেড়ীবাঁধটি তার অস্থিত্ব হারিয়ে চিকন রাস্তায় পরিনত হয়েছে। এমনকি এ বেড়ীবাঁধের উপর দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়াটাও প্রায় অসম্ভব। এ বাঁধের বিভিন্ন স্থান থেকে খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের পানি বাঁধকে ছাপিয়ে ও চুইয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে বেড়ীবাধটি জলমগ্ন হওয়ায় বর্তমানে তার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় ফাটলও দেখা দিয়েছে। বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন বসবাসরত সাধারণ জনগন স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে সকাল থেকে জরাজীর্ণ বাঁধটির উপরে ও পাশে মাটি দিয়ে ভাঙ্গণ রোধের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নাজুক অবস্থায় পতিত হওয়া এ বাঁধটি কতক্ষন টিকে থাকবে তা নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি বিরাজ করছে। আইলা ও সিডরের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আগেই আবারও বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে সর্বস্ব হারানোর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। অতিদ্রুত এ বেড়ীবাঁধটি সংস্কার বা একটি স্থায়ী টেইসই বাঁধ নির্মান করা না হলে সদরের কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন বলেন, আমরা সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বেড়ীবাঁধটি সংস্কারের জন্য বাঁধটির উপরে ও পাশে মাটি দিয়ে ভাঙ্গন রোধের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে স্থায়ী বেড়ী নির্মান করা না হলে এ সমস্যার সমাধান কোন ভাবেই সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। অপর দিকে, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী পরিচালক আরিফুজ্জামান খান প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের হাতে এ মুহুর্তে কোন বাজেট নাই। আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছি। তারা এবিষয়ে আমাকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। টেইসই বেড়ীবাঁধ নির্মান করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাইকার মাধ্যমে আমরা টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মানের প্রচেষ্টায় আছি, তবে কবে নাগাদ এ টেকসই বাঁধ নির্মান হবে তা তিনি জানাতে পারেননি।