নিজস্ব প্রতিবেদক : কালিগঞ্জের জামায়াত ক্যাডার কর্তৃক ওয়ার্ড আ’লীগ নেতাকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন, কালিগঞ্জের কালিকাপুর গ্রামের মৃত. আলহাজ¦ শেখ আব্দুস সাত্তারের পুত্র শেখ হাবিবুল্লাহ। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি ১নং কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। আমার পিতার মৃত্যুর পর তার সকল সম্পত্তি আমার বড় ভাই চিহ্নিত জামায়াত ক্যাডার গোলাম বারি দেখাশোনা করত। আমি লেখাপড়া না জানার কারণে ইটাভাটার ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। আর যেহেতু বড় ভাই শিক্ষিত এবং সেনাবাহিনীতে চাকুরি করত সেকারণে সরল বিশ^াসে তার কাছেই পুরো সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আমার অর্থলোভী বড় ভাই কৌশলে আমাদের সম্পত্তি ভোগদখল শুরু করে এবং জমির সকল কাগজপত্র ও গচ্ছিত টাকা পয়সা হস্তগত করে নেয়। এক পর্যায়ে আমি জমি জমার হারীর টাকা এবং জমি কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমার কোন হিসাব না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এছাড়া সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া মেঠোপাড়ার এক জামায়াত পরিবারের কন্যাকে বিবাহ করে দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর বসবাস শুরু করে। এখানেই বসেই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ২৮সেপ্টেম্বর১৭ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অপরাধ শাখায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে অপরাধ শাখার পরিদর্শক আযম খানের নির্দেশে ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে সেখানে গিয়ে ৩ ভাই, ১ বোন এবং মায়ের অংশ সমানভাবে ভাগ বন্টন করে দেন। সে সময় বড় ভাইসহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন এবং ওই ভাগ বন্টন মিনে নিয়ে স্ব স্ব জমি ভোগদখল শুরু করে। ইতোমধ্যে বড় ভাই জামায়াত ক্যাডার গোলাম বারী তার অংশের ৪ বিঘা সম্পত্তি বিক্রয় করে এবং আরো দুটি স্থানে সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছে। এখন আমার সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক অভিযোগ করে যাচ্ছে। আমার সাথে আমার বড় ভাই ছাড়া আর কোন ভাই, বোন বা মায়ের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। প্রকৃতপক্ষে বড় ভাই প্রায়ই আমাকে জামায়াত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হওয়ার কারণে এবং তার কথা না শোনার কারণে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিষ্পত্তি হওয়ারপরও বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। বড় ভাই গোলাম বারি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের অপরাধ শাখায় অভিযোগ করার পর বিষয়টির মিমাংসা হওয়ার পর কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে সেখানে হাজির হয়নি। এছাড়া বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। যখন কাগজপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বলা হয় তখন আর হাজির হয় না। আবার অন্য দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ দেয়। সে সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকলেও তার আচারন এবং জামায়াত সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই তাকে চাকুরি থেকে অবসরে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে এসেও জামায়াতের সাথে জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৩-১৪ সালে কালিগঞ্জের কালিকাপুরে আগুন সন্ত্রাসের ঘটনায় তার প্রত্যক্ষ মদদ ছিলো এবং বর্তমানে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মকর্তাদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে তার। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে বড় ভাই বারি যে অভিযোগ করেছে। তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। আমি কখনো কোন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলাম না। সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। উক্ত পরসম্পদ লোভী জামায়াত ক্যাডার বারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পিতার সম্পত্তির গচ্ছিত কাগজপত্র যাতে পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।