জাতীয়

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

By Daily Satkhira

September 05, 2019

দেশের খবর: বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমান নাম নূর মোহাম্মদ নগর) জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ’র জন্মস্থান মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়। এরপর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যায় নূর মোহাম্মদ নগর। তার স্মৃতিরক্ষার্থে নূর মোহাম্মদ নগরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ এবং স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়।

জানা যায়, ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন তিনি। দীর্ঘদিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন। পরবর্তীতে ল্যান্স নায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান।

তিনি ৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাক হানাদারবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ৩ সঙ্গীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গের অনন্য নজির স্থাপন করেন। মুক্তযুদ্ধে বীরত্ব ও আতœত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে। নূর মোহাম্মদ যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামিকাল নূর মোহাম্মদ নগরে শোক র‌্যালি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ কর্তৃক সশস্ত্র সালাম, কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ট্রাষ্টের সভাপতি আনজুমান আরা। দিনটি পালন উপলক্ষে বিজিবি যশোরের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।