ফিচার

জরুরী প্রয়োজনে রক্তের সন্ধান, লাইভ ব্লাড ব্যাংক সমাধান

By daily satkhira

September 05, 2019

অনলাইন ডেস্ক : ‘লাইভ ব্লাড ব্যাংক’ মোবাইল অ্যাপলিকেশন হল জরুরী ভিত্তিতে রক্তের সন্ধানে রক্তদাতাও গ্রহীতার জন্য একটি দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম। বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্তরোগীসহ বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে সহজেও দ্রুততম সময়ে নিরাপদ রক্তের সন্ধান এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানকে উৎসাহিত করতে মাননীয় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এঁর উদ্যোগে এবং তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে ‘লাইভব্লাড ব্যাংক’ মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপব্যবহার করে খুব সহজেই পাওয়া যাবে নিরাপদ রক্তের সন্ধান। রক্তদানের ক্ষেত্রে সর্বদা সোচ্চার বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এইঅ্যাপটি স্বপ্রনোদিত ভাবে পরিচালনা করবে এবং এর সকল সদস্য এই অ্যাপে নিবন্ধন করে রক্তদানের মহান কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশে এখন বছরে প্রায় ১০ লাখ ব্যাগেরও বেশি রক্তের প্রয়োজন। যার প্রায় ৮০ভাগই পাওয়াযায় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কাছ থেকে। কিন্তু জরুরী অবস্থায় সঠিক রক্তদাতার সন্ধান পাওয়া বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে রক্তের অভাবে বছরে প্রায় একলাখেরও বেশিমানুষ প্রান হারায়। যখন জরুরি রক্তের প্রয়োজন হয়, তখন অনেক ছোটাছুটি করে রক্ত না পেয়ে, অনেকেই ফেইস বুকে স্ট্যাটাস দিয়ে রক্তের জন্য অনুরোধ করে থাকেন এবং রক্তদাতার যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকেন। ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় জায়গায় ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর চলে যায়। আবার স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সন্ধাননা পেয়ে অনেকেই পেশাদার রক্তদাতাদের কাছে যান। এই পেশাদার রক্তদাতাদের রক্তেনানা রকম রোগ জীবানু-ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা তো থাকেই, অনেক সময় আবারতাদের দ্বারা প্রতারণার স্বীকারও হতে হয়। আরতাই জরুরী সময়ে এসব অনভিপ্রেত ঝামেলা এড়াতে একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে “লাইভ ব্লাডব্যাংক”অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমেযেকে উরক্ত দাতা হিসেব যোগদিতে পারবে এবং রক্ত গ্রহীতা হিসেবে রক্তের জন্য অনুরোধ করতেপারবে। যখন কোনো রক্ত গ্রহীতা রক্তের জন্য লাইভব্লাড ব্যাংক অ্যাপএ অনুরোধ করবে তখন রক্ত গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী তার নিকটবর্তী অ্যাপ ব্যবহারকারী সেই রক্তের গ্রুপের সকল সদস্যের কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে। নোটিফিকেশন পাওয়ার পর রক্তদাতা সেই অনুরোধটি গ্রহণ করতে পারবে আবার অগ্রাহ্যও করতে পারবে। যিনি বা যারা এই অনুরোধটি গ্রহণ করবেন তাদের ছবি, নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা এবং রক্তগ্রহীতা থেকে রক্তদাতার দুরত্বরক্ত গ্রহীতার অ্যাপেচলে আসবে এবং তারা মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারবে। একের অধিকরক্ত দাতা যদি অনুরোধটি গ্রহণ করেন তবে রক্ত গ্রহীতা ব্যক্তি দূরত ও সময় বিবেচনা করে সবচেয়ে কাছে থাকা রক্তদাতাকে সিলেক্ট করতে পারবে। যেহেতু, এই অ্যাপ এর মাধ্যমে রক্ত দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাই এগিয়ে আসবে, তাই প্রতারিত হবার সম্ভাবনাও কমে আসবে। এভাবেই খুব সহজে প্রকৃত রক্তদাতা খুঁজে পাওয়া যাবে এবং জরুরী রক্তের চাহিদা পূরণ হবে। লাইভব্লাডব্যাংকঅ্যাপেরক্তদানসম্পর্কিতআরওবিভিন্নফিচারযোগকরাহয়েছেযেমন: ডোনারম্যাপ, ব্লাডডোনারগ্রুপ, নিকটবর্তীব্লাডব্যাংক, সেভডডোনারস, ইনভাইটফ্রেন্ডসইত্যাদি।হোমপেইজএএকটিনিউজফীডএরমাধ্যমেসকলঅ্যাক্টিভিটিপ্রদর্শিতকরাহয়েছে।এতেরক্তদানসম্পর্কিততথ্য, রক্তেরঅনুরোধ, রক্তদানএবংজরুরীসচেতনতামূলকতথ্যসরবরাহকরাহয়েথাকে।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এইঅ্যাপটির উদ্বোধন করেন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে আইসিটি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় তৈরি হয়েছে অ্যাপটি। যা পরিচালনা করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ডাকসু। তথ্যপ্রযুক্তি সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অ্যাপটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে একজন মানুষও যেন রক্তের অভাবে মৃত্যু বরণ না করে সেই প্রত্যয় বাস্তবায়নে ছাত্রলীগ এগিয়ে আসবে, রক্ত দিয়ে মানুষদের বাঁচাবে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি এই লাইভ ব্লাডব্যাংক অ্যাপটিকে সফল করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল যুদ্ধে দেশ বিরোধীচক্রও চক্রান্তকে পরাজিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ে তোলা হবে। হ্যালো ছাত্রলীগসহ গণ মানুষের সেবায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন উদ্যোগে সব রকম সহযোগিতা করবেন তিনি। এসময় রক্তদানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেন পলক। এরপর মোবাইলে লাইভ ব্লাড ব্যাংক অ্যাপটি ডাউন লোড করে দেখানও অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পলক জানান, অ্যাপটি এখন অ্যাড্রয়েন্ডে ডাউন লোড করা যাবে। কয়েক মাসের মধ্যে আইও এসে চলে আসবে। এছাড়া ফেইসবুক-টুইটারে ইন্টার ফেস করে দেয়া হবে, সেখান হতেও সরাসরি নিবন্ধন করা যাবে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)’রজি এস গোলাম রাব্বানী তার বক্তব্যে বলেন, লাইভ ব্লাড ব্যাংকটির পরিচালনায় রয়েছে ছাত্রলীগ এবং ডাকসু। এটি সারা দেশে সবশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, সব ইউনিয়নে এক যোগে যেন ম্যাসিভ ডাউন লোড হয় এবং সবচেয়ে বড় ইন্টারেক্টিভ ব্লাড ব্যাংক হয় সেটি বাস্তবায়নে কাজ করবে ছাত্রলীগ। লাইভব্লাড ব্যাংক অ্যাপটিরবেটা ভার্সন ইতিমধ্যে গুগল প্লেস্টোরে প্রকাশ করা হয়েছিল যা ৫০০০ এরও বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে। এর মধ্যে৪০০০জন স্বেচ্ছায় রক্তদান এ ইচ্ছুক। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে থেকে এই অ্যাপব্যবহার হচ্ছে। ১২৫০টি রক্তের অনুরোধ করা হয়েছে এবং ৫০০ এরও বেশি সফল রক্তদান সম্পন্ন হয়েছে। গুগল প্লেস্টোর থেকে বিনামূল্যে লাইভ ব্লাড ব্যাংক অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাচ্ছে। গুগল প্লেস্টোরের ঠিকানাঃ http://bit.ly/livebloodbank এছাড়া অন্য সকল ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে অ্যাপটির বাংলাও iOS