আসাদুজ্জামান: ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক সরবারহ করতে না পারায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে সকল প্রকার পণ্য খালাস ৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে শ্রমিক নিয়ে আবারো শুরু করেন পন্য খালাসের কাজ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোড আনলোড বন্ধ থাকায় প্রায় শতাধিক আমদানীজাত পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক বন্দরের পার্কিং পয়েন্টে আটকা পড়ে যায়। আমদানীর অপেক্ষায় থাকে আরও দুই শতাধিক ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। এরপর বিকালে ব্যবসায়ীরা ক্ষতি এড়াতে নিজ খরচে শ্রমিক নিয়ে আবারো শুরু করেন পন্য খালাসের কাজ। ভোমরা স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক সরবরাহ করতে বাধ্য। তবে, ভোমরা সি.এন্ড.এফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম অভিযোগ করে জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (ড্রপস কমিনিউকেশন) শ্রমিক সরবরাহ করতে ব্যার্থ হওয়ায় পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে এ বন্দরের ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ে যান। এক পর্যায়ে কাঁচা জাত পণ্যের ক্ষতি এড়াতে ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে বাইরের শ্রমিক নিয়ে চার ঘন্টা পর আবারো শুরু করেছেন পন্য খালাসের কাজ। তিনি আরো জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক সরবরাহের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রত্যেকটি পণ্যে টন প্রতি ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা করে নগদ গ্রহন করেন। অথচ তারা কোন শ্রমিক সরবরাহ করেননা। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসয়ীরা শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে তাদের পন্য খালাস করে নেন। এর ফলে শ্রমিকদের পন্যখালাস বাবদ ব্যবসায়ীদের দুই বার টাকা গুনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আজ সকালে পন্য খালাস বাবদ তারা অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে পারবেননা বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পন্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়।