খেলার খবর: টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিক করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা। শ্রীলংকান এ তারকা পেসার শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চার বলে চার উইকেট শিকার করেন। যাকে বলা হয় ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। শুক্রবার শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৩৭ রানে।
২০০৭ বিশ্বকাপে টানা চার বলে চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল লাসিথ মালিঙ্গার। সেই ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ এবার করলেন টি-টোয়েন্টিতেও। গতকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় ওভারে করেন এই কীর্তি। তৃতীয় বলে কলিন মুনরোকে বোল্ড করে শুরু। এরপর একে একে ফেরান হামিশ রাদারফোর্ড, কলিন ডি গ্র্যান্ড হোম আর রস টেলরকে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দুবার ‘ডাবল হ্যাটট্রিকের’ রেকর্ড এখন শুধুই মালিঙ্গার। এরপর টিম শেইফার্টকে ফিরিয়ে মালিঙ্গার শিকার ৫ উইকেট। এর আগে টস জিতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২৫ করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে মালিঙ্গা তান্ডবে ৮৮ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৬ রানে ৫ উইকেট মালিঙ্গার।
টানা দুই জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা অবশ্য আগেই নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। পাল্লেকেলের গতকালের ম্যাচটা ছিল শ্রীলঙ্কার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : শ্রীলঙ্কা : ২০ ওভারে ১২৫/৮ (গুনাথিলাকা ৩০, কুসল পেরেরা ৩, আভিশকা ৬, ডিকভেলা ২৪, মাদুশানাকা ২০, শানাকা ৭, হাসারাঙ্গা ১৪*, উদানা ২, দনাঞ্জয়া ০, মালিঙ্গা ৬*; সাউদি ৪-০-১৬-০, র্যান্স ৩-০-২৯-০, স্যান্টনার ৪-১-১২-৩, কুগেলাইন ৪-০-২১-১, অ্যাস্টল ৪-০-২৮-৩, ডি গ্র্যান্ডহোম ১-০-১০-০)।
নিউজিল্যান্ড : ১৬ ওভারে ৮৮ (মানরো ১২, সাইফার্ট ৮, রাদারফোর্ড ০, ডি গ্র্যান্ডহোম ০, টেইলর ০, মিচেল ৬, স্যান্টনার ১৬, কুগেলাইন ০, সাউদি ২৮*, অ্যাস্টল ৩, র্যান্স ৮; মালিঙ্গা ৪-১-৬-৫, দনাঞ্জয়া ৪-০-২৮-২, সান্দাক্যান ৪-০-৩৩-১, গুনাথিলাকা ১-০-৭-০, হাসারাঙ্গা ৩-০-১২-১)।
ফল : শ্রীলঙ্কা ৩৭ রানে জয়ী