খেলার খবর: চট্টগ্রামে যখন টেস্টের নবাগত আফগানিস্তানের সামনে নাকানি-চুবানি খাচ্ছে বাংলাদেশ দল, তখন স্কটল্যান্ডের ডানবি থেকে সুখবর দিল বাংলাদেশের মেয়েরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ফাইনালে থাইল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা ৭০ রানের ব্যবধানে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু ফাইনাল। এবার সেই শ্রেষ্ঠত্বও অর্জন করে নিলো বাংলাদশের মেয়েরা। থাইল্যান্ডকে ৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করে থাই মেয়েদের সামনে ১৩১ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল সালমা খাতুনরা। সানজিদা ইসলামের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে বাংলাদেশ করেছিল ১৩০ রান। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি থাই মেয়েরা। ৭ উইকেটে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছিল কেবল ৬০ রান। সানজিদা ইসলাম হয়েছেন ম্যাচ সেরা।
ফোর্টহিলে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সালমা খাতুন। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সানজিদা ইসলাম এবং মুরশিদা খাতুন মিলে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। ৩৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন মুরশিদা খাতুন।
এরপরের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন কেবল আসা-যাওয়ার ভিড়ে। নিগার সুলতানা ৮, শায়লা শারমিন ৩, জাহানারা আলম ৩, ফাহিমা খাতুন আউট হন কোনো রান না করেই।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ওপেনার সানজিদা ইসলাম। ৬০ বলে ৬টি বাউন্ডারি এবং ৩ ছক্কায় করেন ৭১ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের সাঁড়াসি আক্রমণের মুখে পড়ে থাই মেয়েরা। ১৭ রানেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। প্রথম চারজন তো দুই অংকের ঘরই স্পর্শ করতে পারেনি। ওংপাকা লিয়াংপ্রাসাত করেন ১১ রান। শেষ দিকে রাতানাপুরন পাদুংগ্লাদ করেন ১৪ বলে অপরাজিত ১৫ রান।
বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার এবং শায়লা শারমিন নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন সালমা খাতুন এবং খাদিজাতুল কুবরা।