রাজনীতির খবর: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে রামদার আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি ও এসআই।
গুরুতর অবস্থায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) উত্তম কুমারকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুজ্জামানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ শহরের সালামতপুর এলাকায় ব্র্যাক অফিসের কাছে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি ছাত্রলীগ নেতা শাহ সোহান আহমেদ মুসার দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে চাইলে দোকান থেকে ধারালো একটি রামদা নিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মুসা। একই সঙ্গে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি পুলিশকে কোপাতে থাকেন তিনি।
এ সময় রামদার কোপে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) উত্তম কুমার ও উপপরিদর্শক (এসআই) ফখরুজ্জামান রক্তাক্ত হন। সেই সঙ্গে গুরুতর আহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এ সুযোগে পালিয়ে যান ছাত্রলীগ নেতা মুসা। পরে স্থানীয় লোকজন দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওসি উত্তম কুমারকে সিলেটে পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মুসা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকায় গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় রামদা দিয়ে কুপিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করেন মুসা। মুসাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। ওসি আরও বলেন, গুরুতর অবস্থায় উত্তম কুমারকে (ওসি-তদন্ত) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এসআই ফখরুজ্জামানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।