ভিন্ন স্বাদের খবর: ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন এক নারী। কিন্তু সেই সৎ বাবা যে তার মেয়েকে নিয়েই পালিয়ে যাবেন তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেন ওই নারী। ভারতের পূর্ব বর্ধমানে এ ঘটনা ঘটেছে।
সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের বাগানপাড়ায় বাপেরবাড়ি ৩৫ বছরের ওই গৃহবধূর। আউশগ্রামের কয়রাপুর গ্রামে প্রায় ১৭ বছর আগে তার বিয়ে হয়। প্রথমপক্ষের এক মেয়ে, এক ছেলে। মেয়ে ভাতারের ওড়গ্রাম হাই মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। ছেলে কয়রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
গৃহবধূ জানিয়েছেন, আড়াই বছর আগে আউশগ্রামের বেরেণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয় তার। সেখান থেকেই প্রেম। তারপর প্রথম পক্ষের স্বামীকে তালাক দিয়ে কাটোয়া আদালতে আলাউদ্দিনের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পরে আলাউদ্দিন স্ত্রীকে নিজের বাড়িতেই তোলেন। প্রায় একবছর বেরেণ্ডা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে কাটান তিনি। তবে ছেলেমেয়ে থেকে যায় কয়রাপুর গ্রামে তাদের ঠাকুমার কাছেই। বছরখানেক বেরেণ্ডা গ্রামে থাকার পর আলাউদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে যান কলকাতায়। সেখানে একটি ত্রিপল কারখানায় দুজনেই কাজে লাগেন।
স্বামীর সঙ্গে তালাক হলেও ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করতে প্রথম পক্ষের শ্বশুরবাড়িতে অবশ্য যাতায়াত ছিল ওই বধূর। কলকাতায় চলে যাওয়ার পর দু-চার মাস পর থেকে ছেলেমেয়েও মাঝেমধ্যে কলকাতায় তাদের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেত বলে জানান তিনি। ওই নারী জানিয়েছেন মাসখানেক আগে তার মেয়ে যখন কলকাতায় কয়েকদিনের জন্য গিয়েছিল, সেখানে একদিন আলাউদ্দিনের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তিনি দেখে ফেলেন মেয়েকে। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও হয়।
বধূ অভিযোগ করেছেন, দিনদশেক আগে তার মেয়ে কয়রাপুরে ফিরে যায়। গত রোববার কয়রাপুর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। সেদিন থেকে স্বামী আলাউদ্দিনেরও হদিস নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। নারী বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি রোববার আমার মেয়ে তার এক বান্ধবীকে ফোনে বলে, চেন্নাই যাচ্ছি।’ এ ঘটনার পর শুক্রবার কলকাতা থেকে ফিরে ওই বধূ প্রথমে যান পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে অভিযোগ জানানোর পর তিনি আউশগ্রামের বিডিওর কাছে লিখিতভাবে ঘটনার কথা জানিয়ে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।