সাতক্ষীরা

ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা

By daily satkhira

September 16, 2019

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জুলাই-জুন পর্যন্ত বারো মাসে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । ১৯৯৬ সালে ভোমরা স্থলবন্দরের যাত্রা শুরুর পর থেকে চলতি অর্থবছর এটাই সর্বচ্চো রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ভোমরা কাস্টম্স শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জুন মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৭২ কোটি ৪ লাখ, আগষ্টে ৯২ কোটি ৮৮ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৬৭ কোটি ৭১ লাখ, অক্টবরে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ, নভেম্বরে ১২০ কোটি ৪৩ লাখ, ডিসেম্বরে ১১৪ কোটি ৫৮ লাখ, জানুয়ারীতে ১৩৩ কোটি ৮০ লাখ, ফেব্রুয়ারীতে ১৫১ কোটি ৮৬ লাখ, মার্চে ১৪২ কোটি ৭৩ লাখ, এপ্রিলে ৯৯ কোটি ৬৩ লাখ, মে মাসে ৫৬ কোটি ৪৯ লাখ এবং জুনে ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বেশি। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ বন্দরটিতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। তবে, এসময় আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এদিকে, চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে গত দুই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। তবে দুই মাসের লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৬৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘাটতি রয়েছে। সুত্রটি আরো জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগষ্ট মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৬৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সেখানে অর্জিত হয়েছে ১০১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এখনও ঘাটতি রয়েছে ৬৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়শনের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, বন্দরটি শুরুর পর থেকে চলতি অর্থবছর সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে এখানকার ব্যবসায়ীরা যদি নির্ধারিত সকল পন্য আমদানির সুযোগ পায় তাহলে এই লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন তিনি। ভোমরা শুল্ক স্টেশনের নবাগত সহকারী কমিশনার প্রনয় চাকমা জানান, পন্য আমদানি-রপ্তানি ভালো হলে আশা করা যাচ্ছে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে। তিনি আরো জানান, গত দুই মাসের ঘাটতি কাটিয়ে উঠে যাতে উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব অর্জন হয় সে জন্য সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।