নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দল গ্রামের অবসর প্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মৃত তাবারক আলীর ছেলে ভুক্তভোগী অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য মিজানুর রহমান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি প্রতিদিনের ন্যায় গত ৩১/০৮/২০১৯ তারিখে আমার শিশু পুত্র মুজায়িদুর রহমানকে চাম্পাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর গেটের বাইরে আসার পর আমার পুত্রের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে পুনরায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে দেখতে পাই গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের ইস্রাফিল সরদারের পুত্র আলবাদ আমার পুত্রকে মারপিট করছে। আমি এ সময় তাদের দুইজনকে আলাদা করে দেই এবং আমার পুত্রকে নিয়ে বিদ্যায়ের প্রধান শিকের কে গেলে তিনি বিদ্যালয়ে না থাকায় দ্বিতীয় তলায় রুবিয়া নামের এক শিকিার কাছে নিয়ে যায়। ওই শিকিাকে বলি ‘সামান্য এই টুকু সময় আপনারা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না’ এই বলে আমি বিদ্যালয় থেকে চলে আসি। সেখানে ইস্রাফিলের পুত্রকে মারপিট, বকাঝকা বা ওই শিকিার সাথে কোন ধরনের অশালীন আচারণ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তাকে হেয়প্রতিন্ন করার মত কোন ঘটনাই ঘটেনি। অথচ এর দুইদিন পর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রহিমের কুপরামর্শে পত্রপত্রিকায় মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ইস্রাফিলের স্ত্রী জোছনা খাতুন একটি মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন এবং আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। শুধু তাই নয় উক্ত প্রধান শিক সময় মত বিদ্যালয়েও আসেন না। দুপুরের দিকে এসে হাজিরা খাতায় স্বার করে চলে যান। তার নাকি অনেক প্রভাবশালীদের সাথে উঠাবসা রয়েছে সে কারণে তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেনন না। ইতিপূর্বে দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দিলেও আবারো তিনি একই কাজ শুরু করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি তাকে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসার কথা বলায় তিনি আমার প্রতি ুদ্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও হয়রানি মূলক অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন। এমতাবস্থায় তিনি (মিজানরি) উক্ত মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দাসহ মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও হয়রানির হাত থেকে রা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে আশুহস্তপে কামনা করেছেন।##