ভিন্ন স্বাদের সংবাদ: বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-মাদক ও বড় অংকের অর্থসহ গ্রেফতার যুবলীগ নেতা পরিচয়ধারী এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের কার্যালয়ে অন্তত ১৩টি সম্মাননা-পদক পাওয়া গেছে। ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংগঠন এবং সমাজসেবায় অবদান রাখায়’ বিভিন্ন সময় তাকে এ সম্মাননা-পদক দিয়েছে নানা সংগঠন।
তার পাওয়া পুরস্কারের তালিকায় রয়েছে- ফিদেল কাস্ত্রো অ্যাওয়ার্ড ২০১৭, মাদার তেরেসা গোল্ড মেডেল-২০১৭, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল-২০১৭, মহাত্মা গান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৭, অান্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক-২০১৮ প্রভৃতি। উল্লেখ্য, একথা প্রায় সবাই জানেন যে, সমাজের একশ্রেণির অপরাধীরা এখন বিভিন্ন নামধারী সংস্থাকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে কথিত এসব পদক ও পুরস্কার কিনে থাকেন। আড়ালে টাকার বিনিময়ে কেনা হলেও ঘটা করে অনুষ্ঠান করে বড় বড় অতিথিদের হাত থেকে এসব পদক ও পুরস্কার দেয়ার আয়োজন করা হয়। এরপর একশ্রেণির সাংবাদিকদের হাতে কিছু টাকা গুজে দিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে এসব পদক প্রাপ্তির সংবাদও ফলাও করে প্রকাশ-প্রচার করা হয়।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে ৫ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর ভবনে জি কে শামীমের কার্যালয়ে র্যাবের অভিযানের পর এই পদক দেখা যায়।
সুনির্দিষ্ট চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জিকে শামীমকে। কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র, মাদক, নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় আরও সাতজনকে।
পরে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, এখন আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি ছাড়া পাবেন।
এফডিআরের অর্থের উৎসের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কোনো অবৈধ উৎস থেকে এ অর্থ এসেছে বলে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে মানিল্ডারিংয়ের আইনের মামলা করা হবে।