শিক্ষা সংবাদ: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের উপর গ্রামবাসীদের লেলিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর প্রক্টরিয়াল দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের উপর। এ অবস্থায় নৈতিক কারণেই আমি পদত্যাগ করেছি। উল্লেখ্য, প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এই আক্রমণে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোবরা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি- উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৪০-৫০ জনের একটি দল তাদের ওপর রামদা, হকিস্টিক এবং লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিশারিজ দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর মাথা ইট দিয়ে ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অহত শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন।