দেশের খবর: পুলিশের অভিযানে কিছু না পাওয়া গেলেও ঠিক তার দুই দিন পর র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া গেছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফু-ওয়াং ক্লাবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ফু-ওয়াং ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, এখানে অনুমোদিত মাদকের বাইরে তিন শতাংশ অবৈধ মাদক মজুদ করে রেখেছিল তারা। যার কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই।
তিনি জানান, ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে ২০০০ এর মতো বিদেশি মদের বোতল ও ১০ হাজার হান্টার ক্যান ও নগদ সাত লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাবের তিনজন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- জাহিদ, জেবিয়ার জেরি ডিকস্টা ও চঞ্চল।
ফু-ওয়াং ক্লাবের সদস্য ছাড়াও বাইরের অনেকেই সেখানে যেতেন এবং মাদক সেবন করতেন বলেও জানান সারোয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলছিলেন, ‘এখানের মাদকদ্রব্য বাইরেও বিক্রি করা হতো এবং এই ক্লাবের সদস্য নন তারাও এখানে এসে মাদক সেবন করতেন।’ অভিযান পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের আনিসুর রহমান ও নিজাম উদ্দীন।
ক্লাবটি ইতোমধ্যে সিলগালা করে দিয়েছে র্যাব। বুধবার মধ্যরাতে এই ক্লাবে অভিযান চালান র্যাব-১ এর সদস্যরা।
এর আগে, সোমবার ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়ে শূন্য হাতে ফিরে পুলিশ। সেখানে ক্যাসিনো কিংবা কোনো অনিয়ম পায়নি।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু হয়।
সে সময় কোনো ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর পায়নি পুলিশ। যদিও ক্লাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়া ও ক্যাসিনো চলছিল বলে অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই ক্লাবে ক্যাসিনো কিংবা জুয়ার মতো কোনো আলামত পায়নি পুলিশ।