নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হায়দর আলি তোতার বাড়ি থেকে টাকা ও জুয়ার সরঞ্জামসহ গ্রেফতার নয় জুয়াড়ির বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা হয়েছে। এতে নাম পরিচয়সহ নয়জন এবং আরও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত তাদের সবাইকে জামিন দিয়েছেন। মামলার বিবরনে বাদি গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিশ^জিত সরকার উল্লেখ করেন যে, বুধবার রাতে শহরের মুনজিতপুরে জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হায়দর আলি তোতার বাড়িতে জুয়ার আসর চলমান অবস্থায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কয়েক বান্ডেল তাস, জুয়ার সরঞ্জাম, গোলাকার টেবিল, খাতাপত্র ও ৪৯ হাজার টাকাসহ ৯ জুয়াড়িকে হাতেনাতে আটক করা হয়। অভিযান চলাকালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। অভিযানের সময় তোতাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কালিগঞ্জের রঘুনাথপুরের দালাল সরদার, কলারোয়ার তারাগাছের আবু শাহিন, দক্ষিণ পলাশপোলের মো. শরিফুল ইসলাম, মধ্য কাটিয়ার আবদুর রাজ্জাক, লস্করপাড়ার মাহমুদুল হক, কলারোয়ার লোহাকুড়ার মো. আলাউদ্দিন, পুরান সাতক্ষীরার মো. কামরুজ্জামান, মধ্য কাটিয়ার গোলাম রব্বানি ও আশাশুনির চেউটিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম(খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য)। সাতক্ষীরা থানা মামলা নম্বর ৮০, তারিখ ২৬.০৯.১৯। আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এদিকে তোতার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর বসছে এমন অভিযোগ করে স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী ব্যক্তির আত্মীয় পরিচয়ে হায়দর আলি তোতা দিনের পর দিন একাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয়রা জেনেও এ ব্যাপারে কথা বলতে সাহস করেন নি। অভিযোগ রয়েছে জুয়ার আসরের পাশাপাশি সেখানে দিনের পর দিন চলতো অসামাজিক কাজ। সাতক্ষীরা থানা থেকে হায়দর আলি তোতার এই জুয়ার ডেরা খুব নিকটে হওয়ায় পুলিশের ছত্রছায়ায় এই অবৈধ কাজ চলতো বলে দাবি স্থানীয়দের। তোতা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশকে ম্যানেজ করেই জুয়ার আসর চালিয়ে আসছেন বলে তাদের অভিযোগ। এদিকে সাতক্ষীরার আগরদাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মজনু মালির বাড়ির পাশে এক নিরিবিলি ডেরায় দীর্ঘদিন যাবত জুয়ার আসর বসে এমন খবর সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, খবর পেয়ে সম্প্রতি তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি শহরের ফ্রেন্ডস ড্রামাটিক ক্লাবের সেক্রেটারি জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সাইফুল করিম সাবুর পৃষ্ঠপোষকতায় জুয়া খেলার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক জানান, ‘আমি নিজে ওই ক্লাবের সভাপতি। গত ১ জুলাই সেখান থেকে ২২ জুয়াড়িকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়া হয়েছে। এখন সেখানে আর জুয়ার আসর বসে না’।