নিজস্ব প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটা নার্সিং হোম-এ হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ক্লিনিকের মালিক গোলাম রসূল পাটকেলঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে ক্লিনিকের মালিক দম্পতিকে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পাটকেলঘাটার কুমিরা এলাকার মৃত শেখ আতিয়ার রহমানের পুত্র গোলাম রসূল পাটকেলঘাটা বাজারের পূর্ব পাশে গোডাউন সংলগ্ন তিনতলা বিশিষ্ট ভবনের নিচতলার ১৮টি কক্ষ পাটকেলঘাটার লালচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ফজিয়ার রহমানের পুত্র রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ১৬ বছর মেয়াদ তে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত পড়িত ভাবে ডিড নিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু মাত্র ৬ বছর পরেই ভবনের মালিক রফিকুল লোভ ও লাভের বশবর্তী হয়ে ক্লিনিক বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে এবং ক্লিনিকের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করতে থাকে। সে সময় উপায়ন্তর হয়ে ক্লিনিক রক্ষার্থে বিজ্ঞ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে গোলাম রসুল। যার দেওয়ানী মামলা নং- ১৫৩/১৯। উক্ত মামলাটিতে বিজ্ঞ আদালত গত ইং- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর উক্ত আসামী সহ অজ্ঞতনামা আসামীরা বিজ্ঞ আদালতের আইন অমান্য করে গত ২৯সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সকাল অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে রফিকুলের নেতৃত্বে শেখ বজলুর রহমানের পুত্র হাফিজুর রহমান, আচিমতলা এলাকার মৃত মুনছেফ আলীর পুত্র শওকত আলী মোড়ল, লালচন্দ্রপুর এলাকার আবুল শেখের পুত্র শেখ মিলন, মৃত এসেম মিস্ত্রির পুত্র সবুরসহ ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ বাহিনী সময় হাতে লোহার হাতুড়ি, কুড়াল, লোহার শাবল, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকস্টিকসহ মারাক্তক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ক্লিনিকের মধ্যে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে প্রবেশ করে হুংকার দিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতঃ অস্ত্রপাতির ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তার ক্লিনিকের মধ্যে থাকা একটি আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন, একটি ইকো প্লাস আল্ট্রাসনোগ্রাফি, দুইটি আল্ট্রাসনো প্রিন্টার, দুইটি ইসিজি মেশিন, দুইটি সিপিইউ, তিনটি মনিটর, একটি টিভি, একটি ল্যাব কম্পিউটার, দুইটি ল্যাব প্রিন্টার (কালার, সাদা-কালো)সহ ক্লিনিকে থাকা প্রায় ১ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি লুটপাট করে। এসময় গোলাম রসূল ও স্ত্রী মোছাঃ হুমায়রা খাতুন প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা গোলাম রসুল ও তার স্ত্রী হুমায়রা খাতুনকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে গোলাম রসূল ও তার স্ত্রী হুমায়রা খাতুন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী গোলাম রসূল প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।