এম.এ হোসাইন : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আড়ুয়াখালী পায়রাডাঙ্গা মুজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মো. আইয়ুব হোসেন বলেন, শুরু থেকেই শিক্ষক-শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় দাতাদের আন্তরিক প্রচেস্টায় এটি দিনের পর দিন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি নবগঠিত মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি ও সভাপতির দুর্নীতি সম্পর্কে স্থানীয় পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য মো. মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এলাকার কুচক্রী মহল তাকে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে সাংবাদিককে ভুল, মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য সরবরাহ করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি হয়েছে এমন তথ্য দিয়েছেন ডা. আনছার আলী। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ২০১৬ সালের জুন মাসে সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অাজ পর্যন্ত আমাদের মাধ্যমে কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। আমি সকলকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসাটির উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছি। জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি’র স্নেহভাজন হওয়ায় অনেকে আমার কাজে খুবই ইর্ষানিত। তার আন্তরিক সীমানা প্রাচীর, মাঠে মাটি ভরাট, সাইকেল সেট নির্মাণ, নতুন রাস্তা তৈরি, টিনের চাল মেরামত সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছি। এছাড়া একটি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের বাজেট পাস হয়েছে। এখানে একটি মসজিদ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. গোলাম সরোয়ার বাবু বলেন, বর্তমান সভাপতি সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়ায় সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরীর নিকট যে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে স্থানীয় অভিভাবকদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বনি আমিন, জামাল, শাহাজান, শামুল, আলমগীর, আমজাদ, আফতাব গাজি, খোকন, ওসমান সহ আরো অনেকের স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই নিজেদের নাম লিখতে পারেন না।
প্রতিষ্ঠানের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও কুশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. খায়রুল বাশার বলেন, ডা. আনছার আলী সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি তার সময়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করতে পারেন নি। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সকলের প্রচেষ্টায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে অনেকেই ঈর্ষানিত হচ্ছে।
মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ডা. আনছার আলীর ব্যবহৃত ০১৭৩৮-১৯৯৩৯৫ নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
আড়ুয়াখালী পিএমডি মাদ্রাসার নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনে নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক উপজেলাে ভাইস-চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শ্যামল সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।