জাতীয়

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় চার ছাত্রলীগ নেতা আটক

By Daily Satkhira

October 07, 2019

দেশের খবর: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

চকবাজার থানার ওসি সোহরাব হোসেন জানান, সোমবার সকালে তারা মেহেদী হাসান রাসেল ও মুহতাসিম ফুয়াদকে আটক করেন। পরে অনিক সরকার ও মেফতাহুল জিয়ন নামে আরও দুজনকে আটক করা হয়।

এই চারজনের মধ্যে রাসেল বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আর ফুয়াদ সহ-সভাপতি। তারা দুজনেই বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র।

আর অনিক সরকার বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য গবেষণা সম্পাদক, জিয়ন ক্রীড়া সম্পাদক বলে জানান ওসি।

ওসি সোহরাব হোসেন বলেন, “অনিক যন্ত্রকৌশল এবং জিয়ন নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের ছাত্র। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের আটক করা হয়েছে।” রোববার রাত ২টার দিকে শেরে বাংলা হলেরে সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই হলের শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। পরে শিক্ষার্থীরা রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয়তলার সিঁড়িতে তার লাশ পায়।

সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ বলেন, “ভোঁতা কিছু দিয়ে মারা হয়েছে। ফরেনসিকের ভাষায় বলে- ব্লান্ট ফোর্সেস ইনজুরি। বাংলা কথায়, ওকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।”

ওই তরুণের হাতে, পায়ে ও পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, “ইন্টার্নাল রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।” ছাত্রলীগের কর্মীরা আবরারকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে সহপাঠীদের বরাতে খবর দিয়েছে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ কর্মকর্তারা।

হলের যে কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই ২০১১ নম্বর কক্ষসহ কয়েকটি কক্ষ সকালে ঘুরে দেখেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেসব কক্ষ থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান।

তিনি বলেন, “অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা প্রত্যেকটা অপরাধীকে খুঁজে বের করব।”

একই সুরে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি যতটুকু বুঝি এখানে ভিন্ন মতের জন্য একজন মানুষকে মেরে ফেলার কোনো অধিকার নেই। এখানে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। তদন্ত চলছে, তদন্তে যারা দোষী সাবস্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারসোনালি আমার কোনো ভিন্নমত নেই।”