রাজনীতির খবর: আর্থিক অনিয়ম ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিসকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দীপু জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কাজী আনিসের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রেসিডিয়াম সদস্যরা একমত হয়েছেন কাজী আনিসকে বহিষ্কার করার জন্য। সেই আলোকে কাজী আনিসকে আমরা বহিষ্কার করেছি। ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরদার মোহাম্মদ আলী মিন্টু বলেন, আনিস যুবলীগের কমিটি বিক্রি করে, চাঁদাবাজি, দরপত্র থেকে কমিশন নিয়ে অবৈধ ভাবে বিপুল পরিমাণে সম্পদ বানিয়েছে। এর ভয়ে এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ কাজ শুরু করেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ছেলে আনিস। সাত বছর পর কর্মচারী থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক পদে বসেন। এখন তিনি একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক।
এদিন সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুরু হয় সভাপতিমণ্ডলীর এই সভা। সভায় সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে যোগ দেননি যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক। তবে কেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় উপস্থিত নেই, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।