পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছায় শাপলা ক্লিনিকে গত এক সপ্তাহে দু’প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার জরুরীভাবে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় গজালিয়ার আলমগীর ফকিরের স্ত্রী মারুফা খাতুন (২৯) নামে গৃহবধু প্রসাব যন্ত্রনার কারনে শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি হয়। রাত ১২ টার দিকে পাইকগাছা হাসপাতালের ডাঃ আব্দুর রব ও নীতিশ গোলদার তাকে সিজার করে রেখে যায়। পরবর্তীতে তার শরীর থেকে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় ডাক্তার ডেকে আনলে একই রোগীর আবারও অপারেশন করে জরায়ু ফেলে দেয়। এ সময় মারুফা খাতুন অসুস্থ হতে থাকলে পরের দিন সকাল ৯ টার দিকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ তে প্রেরণ করে। সেখানে শুক্রবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার একই প্রতিষ্ঠানে গজালিয়ার মাসুম গাজীর স্ত্রীর নাছরিন আক্তার (২০) কে সিজার করলে তার পরের দিন একটি কন্যা সন্তান হয়। পরবর্তীতে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ায় তিনিও মারা যান। গত এক সপ্তাহে দুই রোগীর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এলাকাবাসী দ্রুত এই মৃত্যুপুরী শাপলা ক্লিনিক বন্ধ সহ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে। শাপলা ক্লিনিকের মালিক ক্লিনিক রেখে পালিয়েছে। ডাঃ আব্দুর রব জানান, রোগীর সিজার করেছি পরবর্তীতে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় আরেকটি অপারেশন করতে হয়েছে। সে সুস্থ ছিল, পরে কিডনি ফেল করে খুলনা গাজী মেডিকেলে মারা গেছে।