বিদেশের খবর: বেশ কিছুদিন আগে নোবেল পুরস্কার নিয়ে কথা বলে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর ট্রাম্পের সেই বক্তব্য ফের ভাইরাল হয়েছে।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতের সাথে পাকিস্তানের মধ্যস্থতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় পাকিস্তানের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নোবেল দেওয়ার কথা উঠলে ট্রাম্প জানান, তিনি অনেক কিছুতেই নোবেল পেতে পারেন। কিন্তু তাকে দেয়া হয় না। এদিকে নোবেল নিয়ে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এমনকি খুব অল্প সময়ে এই বক্তব্য ভাইরাল হয়।
সেসময় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানকে বিশ্বাস করি। আমি চাই যে কাশ্মীরে সবাই ভালো থাকুন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে যেমন আমার ভালো সম্পর্ক, তেমনই পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার সম্পর্ক ভালো। যদি দু’জনেই বলেন, আমাদের একটা সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করে দিন। আমি তক্ষণি রাজি হয়ে যাব। আমি মনে করি, আমি খুব ভালো মধ্যস্থতা করতে পারি।’
পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক পাক সাংবাদিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আপনি যদি এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন, তাহলে আপনি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার একজন যোগ্য দাবিদার।’
এ কথা শোনার পর নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমি মনে করি, আমি অনেক কিছুর জন্যই নোবেল পুরস্কার পেতে পারি। যদি সেটা ঠিকভাবে দেয়া হতো তবে। কিন্তু ওরা দেয় না।’
এ সময় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রসঙ্গও টেনে আনেন ট্রাম্প। ২০০৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। পারমাণবিক যুদ্ধ বন্ধ করা ও এক নতুন পরিবেশ তৈরি করার তার প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতেই এ পুরস্কার দেয়া হয় তাকে।
কিন্তু ট্রাম্প কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওবামাকে নোবেল দেয়া হয়। কী জন্য এ পুরস্কার ওকে দেয়া হয়েছে, তার ধারণাও ওর নেই। এই একটা বিষয়ে আমি ওবামার সঙ্গে একমত।’
অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও অনেকবার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
তার যুক্তি, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে না দেয়ার জন্য তাকে নোবেল দেয়া উচিত। ট্রাম্প মনে করেন, পৃথিবীজুড়ে সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ওবামার থেকে তার অবদান অনেক বেশি।