খেলার খবর: ওপেনার সাইফ হাসানের সেঞ্চুরি এবং অন্য ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে ভর করে ৩২২ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শ্রীলংকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষটায় ওই রানই জয়ের পথ এগিয়ে দেয়। বৃষ্টি সেই পথটা পিচ্ছিল নয় মসৃণ করেছে। শ্রীলংকা ‘এ’ দল ২৪.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তোলে। পরে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৯৮ রানে জয় পায়। শ্রীলংকায় সিরিজ নিশ্চিত করে ২-১ ব্যবধানে।
শ্রীলংকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এই দলের আট ক্রিকেটারের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। হারটা তাই কাটার মতো ফোটার কথা ‘এ’ দলের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ ওভারের শেষ বলে এক উইকেটের কষ্টের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। তবে সিরিজ নিশ্চিত করার ম্যাচে বেগ পেতে হয়নি মিঠুনদের। ব্যাটসম্যানদের পরে বোলিংয়ে এবাদত-সাইফ হাসানদের তোপে সহজে জয়ের পথ রচনা করে নেয় ‘এ’ দল।
শনিবার শ্রীলংকার প্রেমাসাদা স্টেডিয়ামে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার গড়েন ১২০ রানের জুটি। ঘরের মাঠে সর্বশেষ টি-২০ সিরিজে ডাক পেয়েও ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়া নাঈম শেখ ৭৬ বলে খেলেন ৬৬ রানের ভালো এক ইনিংস। তিনি পাঁচটি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন দুটি। এরপর সাইফ হাসানকে ক্রিজে রেখে ব্যক্তিগত ২ ও ১৫ রানে আউট হন নাজমুল হোসাইন শান্ত ও আনামুল হক।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন আবার সাইফকে সঙ্গ দিতে শুরু করেন। দারুণ খেলা সাইফ ১১০ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ১২টি চারের সঙ্গে মারের তিনটি ওভার বাউন্ডারি। তার আউটের কিছু বাদেই ৩৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন মিঠুন। পরের ব্যাটসম্যানরাও সেভাবে রান পাননি। আফিফ হোসেন করেন ১৩ বলে ১২ রান। নুরুল হাসানের ঝড় ১২ বলে ১৭ রান তুলে থামে। আরিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ৬ রান।
তাদের একজন সেট হয়ে বড় সংগ্রহ তুলতে পারলে আরও কিছু রান বেশি পেতে পারতো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে ফেরায় ৯ উইকেট হারিয়ে তিনশ’ ছাড়ানো রান তুলে থামে বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলংকা ‘এ’ দলের হয়ে কামিন্দু মেন্ডিস ফিফটি করে আউট হন। তার সঙ্গে দলকে আশা দেওয়া আসান প্রিয়ঞ্জন ৩৪ রান করেন। শ্রীলংকার হয়ে সিরান ফার্নান্দো ৪টি এবং বিশ্ব ফার্নান্দো নেন ৩ উইকেট। এবাদত-সাইফ ছাড়া আফিফ ও আবু হায়দার একটি করে উইকেট নেন।