আন্তর্জাতিক

নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ: প্রধানমন্ত্রী

By daily satkhira

October 13, 2019

দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যেখানে নদীভাঙন হবে, সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাজেট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কর্তব্য মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যখনই সরকারে এসেছি, দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিয়েছি। দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।’এ সময় তিনি ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ক্ষতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি ও ১৪ জেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯১ সালে যখন ঘূর্ণিঝড় হয়, তখন আমি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। ওই সময় এক অধিবেশনে সরকারদলীয় নেতা বলেছিলেন- ঘূর্ণিঝড়ে যত মানুষ মরার কথা ছিল, তত মানুষ মরেনি। তখন আমি বলেছিলাম- কত মানুষ মরার কথা ছিল, আর কত মানুষ মরেছে? যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সরকার সজাগ না থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।’

এই সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত ও নদীভাঙন কবলিতদের পাশে দাঁড়াতে সবর্দা সজাগ থাকে ও সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন ‘আমরা নদীগুলোতে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সেগুলো ড্রেজিং করছি। ভাঙন রোধে নদীশাসন ও বাঁধ দেয়ার কাজ করছি। আর তা আপনাদের কাছে দৃশ্যমান।’

বঙ্গবন্ধুর নেয়া উদ্যোগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই সরকার এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জাতির পিতা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছিলেন। তৎকালীন রেডক্রসকে সঙ্গে নিয়ে সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই সময় ৪৫ হাজার ভলান্টিয়ারকে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল। পরে তারা দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘বর্তমানে আমাদের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার রয়েছে। স্কাউট, বিএনসিসি, গার্ল গাইডসও দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন শুধু নিজের দেশই নয়, প্রতিবেশী দেশসমূহের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এ সরকার।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেপালে ভূমিকম্পের সময় আমরা তাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্টটি ব্যবহার করতে দিই। প্রতিবেশী দেশগুলো দুর্যোগের সময় এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। যেকোনো মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।’