নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় কৌশলে ৩লক্ষ টাকা হাতিয়েও শেষ রক্ষা হলো না সাতক্ষীরা গ্লোব কম্পিউটার সীল’র মালিক আফসার উদ্দীনের। সদস্যদের তোপের মুখে ফেরত দিয়ে এযাত্রায় পার পেয়েছেন তিনি। এঘটনায় স্থানীয় ব্যবসাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরের মিনিমার্কেট এলাকার এঘটনা ঘটেছে। শহীদ নাজমুল সরণী এলাকার সালেহা লাইব্রেরির মালিক সামছুর রহমান জানান, আমরা ২৫ জন ব্যবসায়ীরা ও চাকুরিজীবি ব্যক্তি মিলে দৈনিক ২শত টাকার জমা দেওয়ার চুক্তিতে একটি খেলার সমিতি গঠন করি। যার খেলা অনুষ্ঠিত প্রতিমাসে হবে। সেখানে সদস্য প্রতি দেড় লক্ষ টাকা পাবে। সে অনুযায়ী গ্লোব কম্পিউটার সীল’র মালিক আফসার উদ্দীন ও তার পুত্র সালাউদ্দীন লাভলু প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। আদায় করা টাকা আফসার উদ্দীন তিনি টাকা তার নিজ নামীয় ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতেন। খেলায় টাকা বাধার পর চেকে তিনি টাকা দিতেন। ইতোমধ্যে খেলা শেষ হওয়ার উপক্রম হলেও আমার ৪টি খেলায় ৬লক্ষ টাকা উঠার কথা থাকলেও পেয়েছি ২টি খেলার ৩ লক্ষ টাকা। খেলাগুলোর মধ্যে গত ১ মার্চ ১৮ তারিখে প্রথম টি, ১ জুলাই ১৮ তারিখে দ্বিতীয় টি, ১ অক্টোবর ১৮ তারিখে ৩য়টি ও ১ মে ১৯ তারিখে ৪র্থ টি বাধে। এর মধ্যে ৬ মে ১৮ তারিখে এবং ৫ জুলাই ১৮ তারিখে জনতা ব্যাংক থেকে আমি টাকা উত্তোলন করে। কিন্তু ১ অক্টোবর ১৮ ও ১ মে ২০১৯ তারিখের খেলার টাকার চেক আমার নামে ইস্যু হলেও উত্তোলন করিনি। দুটি চেকের মধ্যে একটি চেকে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৮ অক্টোবর ১৮ তারিখে উত্তোলন করে এবং অন্য চেকটি আফসার উদ্দিন নিজেই স্বাক্ষর করে ৫ মে ১৯ তারিখে উত্তোলন করেন। আফসারের কাছে বাকী টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোমার টাকা দেওয়া হয়েছে। তোমার নামে চেক দেওয়া হয়েছে। তখন আমি জনতা ব্যাংকে গিয়ে খোজ নিয়ে জানতে পারি আমার নামে ইস্যুকরা চেকের টাকা আফসার উদ্দীন নিজেই তুলে নিয়ে গেছেন। ওই চেকের পিছনে তার স্বাক্ষর থাকায় সেটি প্রমানিত হয়। এবিষয়টি অন্য সদসদের অবগত করলে তোপের মুখে ১৯ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আগামী ২৭ অক্টোবর’২০১৯ তারিখে ৩লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন তিনি। যার নং- ৫২৯৩৭৯৮। এছাড়া ২৫ জন সদস্যের খেলা ২৫টি হওয়ার কথা থাকলেও আফসার উদ্দীন দেড় লক্ষ টাকা আত্মসাথের উদ্দেশ্যে আরো একটি খেলা (২৬তম) করার পায়তারায় লিপ্ত হয়। কিন্তু একজন সদস্য প্রতিটি খেলার তারিখ লিখে রাখায় তা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে গ্লোব কম্পিউটার সীল’র মালিক আফসার উদ্দীন তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ভুলে এটি হয়েছে। এটি ইচ্ছাকৃত নয়।