শিক্ষা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের ওপর যৌথভাবে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এতে ছাত্রদলের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন মামুন খান, শাহজাহান শাওন, মাহফুজ চৌধুরী, হাসান তারেক ও নূর আলম ইমন। তাঁদের মধ্যে মামুন খান নামের একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত ক্যাফেটেরিয়া ও কমনরুমবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কানেতা ইয়া লাম লাম দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, বেলা ১১টার দিকে ঢাবির সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলন শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের বের হওয়ার সময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস-ছাড়া করেন। এর আধা ঘণ্টা পর ছাত্রদলের একটি অংশ মধুর ক্যান্টিনে আসলে হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রদলের কর্মীরা চেয়ার-টেবিল না পেয়ে ফ্লোরে বসে ছিলেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় ছাত্রদলের পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।’
কানেতা বলেন, এ হামলার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে দুপুর ১২টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলকে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতারা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ফেসবুক আইডি থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় সংবাদ সম্মেলনে।’ তিনি বলেন, ‘আমাকে ও ডাকসুতে ছাত্রদলের হয়ে শামসুন নাহার হলের ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মানসুরা আলমকে ছাত্রলীগ নেতারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন।’
কানেতা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাবি শাখার সভাপতি আল সনেটের নেতৃত্বে প্রথমে হামলা চালানো হয়। এরপর তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।